সপ্তাহে দুইদিন করাতে হবে ডায়লাসিস, সোমবার ও বৃহস্পতিবার চার বছর ধরে ডায়লাসিস করাতে হয় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী অশোখ শী-কে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার লকডাউন জেনেই শনিবার ঠিক করেন ডায়লাসিসের সময়। শরীর মানেনি, চার বছরের পুরানো অভ্যাস যেন লকডাউন বোঝেই না। বুধবার মধ্যরাত থেকেই শরীরিক অসুস্থতার জন্য বেহাল অবস্থা অশোখ শী-এর। বৃহস্পতিবার লকডাউনের কথা ভেবেই সকাল সকাল মেয়ে অঙ্কিতা ও স্ত্রী রীনা কে নিয়ে মানিকতলা চন্ডি বাড়ি লেনের বাড়ি থেকে রওনা দেন। বাড়ির দরজার বাইরে গেলেও জোটেনি কোন গাড়ি। কলকাতা পুলিশকে একটা ফোন কততেই মুশকিল আসান হল। অসুস্থ ব্যক্তির গাড়ি যোগাড় হল নিমেষে।
লালবাজার কন্ট্রোল রুমে ফোন করতেই পরিস্থিতি বুঝে ছুটে আসে একটি গাড়ি। পুরো বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে কলকাতা পুলিশের “শক্তি” চলে আসে অশোখ শী-এর বাড়ির সামনে। মেয়ে অঙ্কিতা পাত্র জানান, যখন কোন গাড়ি পাচ্ছি না, তখন পুলিশের গাড়িটি সত্যিই অনেক উপকার দিলো। একবার মাত্র ফোন করার পরেই দেখলাম গাড়িটা চলে এল। সেই গাড়ি নিয়ে চলে যাবার পরে পুলিশের তরফে জানতে চাওয়া হয় কাজ কখন শেষ হবে? রাত ১২ নাগাদ যখন শহর শান্ত তখন ৬২ বছরের বৃদ্ধ ডায়লাসিস করে বাইরে আসতেই দেখলেন গাড়িটি। সেই কলকাতা পুলিশের গাড়িটি আবার বাড়ির সাসনে নামিয়ে দিলো।
কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা জানান, কলকাতা পুলিশ শহরের নাগরিকদের সাহায্য করতে সর্বদা প্রস্তুত। কোন অসুবিধা হলেই ১০০ ডায়ালে করলেই সাহায্য করা হবে।