আজ নবান্ন সভাঘরে দ্বিতীয় ভার্চুয়াল প্রশাসনিক সভা থেকে আসন্ন করমপুজোয় জঙ্গলমহলে ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ আগামী ২৯ আগস্ট, শনিবার করম পুজো উপলক্ষে ছুটি পাবেন জঙ্গলমহলের কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় খুশি ওই এলাকার মানুষ। আদিবাসী, কুরমি-মাহাতো জনজাতির আবেগকে গুরুত্ব দিতেই কয়েকদিন আগেই করমপুজোয় ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে দিনটিকে উল্লেখ্য করা হয়েছিল ‘সেকশনাল হলিডে’ বলে।
চাষাবাদ কেন্দ্রীক এই করমপুজোয় পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড-সহ উড়িষ্যা, ছত্তিসগড়ে ছুটিই থাকে। বহুদিন ধরেই বাংলাতেও এই উৎসবে আদিবাসীরা ছুটি পেয়ে এসেছেন। চলতি মাসের ১৭ তারিখে রাজ্যের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে সেই কথাই জানানো হয়েছিল। তারপরই বাঘমুন্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টুইট করে কুরমিদের জন্যও করমপুজোয় ছুটি ঘোষণার আবেদন করেছিলেন।
এরপর মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লেখেন তিনি। ওই পুজোয় ছুটির দাবিতে সরব হন কুরমি জনজাতির মানুষজনও। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, জয়পুরের বিধায়ক শক্তিপদ মাহাতো ও পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতোও একই দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। এরপরই গত শনিবার রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় যে, এই উৎসবে যাঁরাই শামিল হবেন তাঁরা ছুটি পাবেন।
বিধায়ক নেপাল মাহাতো বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ। এই উৎসবে যাঁরাই শামিল হবেন তাঁদের জন্যই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।” আজ মঙ্গলবার সেই ছুটির কথাই জানালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, করম উৎসব এখন বাংলায় প্রায় সর্বজনীন হয়ে গিয়েছে। যাঁরা চাষের কাজে যুক্ত, আরও ভাল ফসলের আশায় তাঁরা এই পুজো করেন। এই পুজোর সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে করম নাচ। যা বাংলার লোকসংস্কৃতির অঙ্গ। তাই এইদিনে ছুটি ঘোষণা করায় খুশি হয়েছে জঙ্গলমহলও।