সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বহিরাগত’ বলে উল্লেখ করেছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এবার তাঁর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই পালটা তোপ দাগলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বললেন, ”এই ধরনের কথা কোনও সুস্থ মানুষ বলতে পারে না। একমাত্র অসুস্থ এবং পাগলরা এ কথা বলে।”
অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা নেই”। তিনি আরও বলেন, “এই কথা পশ্চিমবাংলা ভারত তথা বিদেশের মানুষ কীভাবে নেবে, তাই ভাবছি।” রবিবার বোলপুরের তৃণমূলের জেলা পার্টি অফিসে একটি বৈঠক করেন অনুব্রত।
প্রসঙ্গত, ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মন্তব্য ছিল, “গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে বহিরাগত ছিলেন। তিনি যদি এই অঞ্চল পছন্দ না করতেন, বিশ্বভারতী এখানে বিকশিত হত না। এছাড়াও তাঁর সহকর্মীরা, যাঁরা বিশ্বভারতীকে জ্ঞান-সৃষ্টি এবং বিস্তারের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার পথ প্রশস্ত করেছিলেন, তাঁরা সকলে বোলপুরের বাইরে থেকে এসে ছিলেন।” এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দায় মুখর হন আশ্রমিক এবং শিক্ষামহলের বিশিষ্টরা। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর। তিনি বলেন, ”রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই জায়গার সৃষ্টিকর্তা আর তাঁকেই বহিরাগত বলা হচ্ছে! কীভাবে উপাচার্য তাঁকে বহিরাগত বলতে পারেন? তাহলে এই এলাকার লোক কে?”