বিসিসিআইয়ের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ক্রিকেট বোর্ডও আইপিএল আয়োজন উপলক্ষ্যে তাদের নিজস্ব ‘এসওপি’ তৈরি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে। যেই ‘এসওপি’-ও মেনে চলতে হবে আইপিএলের ৮টি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলকে। এই নতুন ‘এসওপি’ কী হবে, তার উপরেই সম্ভবত নির্ভর করবে প্যাট কামিন্স, ইয়ন মর্গ্যানদের আইপিএলের প্রথম ম্যাচ থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্স খেলাতে পারবে কি না, সেই বিষয়টি।
এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান কর্তা মুবাশশির উসমানি আমিরশাহি থেকে জানিয়েছেন, ‘‘সংযুক্ত আরব আমিরশাহির নিজস্ব একটা নিভৃতবাস নির্দেশিকা আছে। যেটা কর্তৃপক্ষ আর তাদের বিশেষজ্ঞরা তৈরি করছে। যা আমাদের বোর্ডকে এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে ঠিক সময়ে জানানো হবে। এই নিয়মগুলিও মেনে চলতে হবে দলগুলোকে।’’ জানা গিয়েছে, ‘কর্তৃপক্ষ’ বলতে এখানে শুধু আরব আমিরশাহি সরকারই নয়। যুক্ত আছে উচ্চপর্যায়ের নানা ব্যক্তি এবং স্বাধীন সংস্থাও। সকলের সঙ্গে আলোচনার করেই এই নির্দেশিকা তৈরি করা হচ্ছে।
এই নিয়মাবলীতে কী থাকবে, তা অবশ্য এখনই জানানো হয়নি। তবে জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে আসা ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের আরও সাত দিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে কি না, তা এই ‘এসওপি’-তে বলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। উসমানি আরও বলছেন, ‘‘এই এসওপি সম্পূর্ণ হয়নি। এখনও তৈরি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা নানা ব্যাপার খতিয়ে দেখছেন। একবার কর্তৃপক্ষ আমাদের চূড়ান্ত নিয়ামবলী জানিয়ে দিলে আমরা সেটা কার্যকর করব।’’
ইতিমধ্যেই রাজস্থান রয়্যালস আর কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দুবাই পৌঁছে গিয়েছে। আর তার পরেই চলে গিয়েছে নিভৃতবাসে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের গন্তব্য আবু ধাবি। দলগুলো একটা ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ছিল। তা হল, স্থানীয় বাস এবং গাড়ি চালকদের ক্ষেত্রে কী ভাবে সুরক্ষা বিধি মানা হবে? এই প্রশ্নের জবাবে উসমানি বললেন, ‘‘যারা পরিবহন এবং দলগুলোর যাতায়াতের কাজ দেখবে, তাদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা ভারতীয় বোর্ড এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে কথা বলেই এগোব।’’
১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলা আইপিএলকে ঘিরে আরও একটা প্রশ্ন উঠছে। মাঠে কি শেষ পর্যন্ত দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে? আমিরশাহি ক্রিকেট সংস্থা এখনও চাইছে, মাঠে যেন দর্শক আসে। কিন্তু সেই ‘কর্তৃপক্ষ’ থেকে এখনও অনুমতি আসেনি। উসমানি জানাচ্ছেন, ‘‘আমাদের এখানে প্রচুর প্রবাসী মানুষ আছেন, এশিয়ার মানুষ আছেন। তা ছাড়া আমাদের এখানকার স্থানীয়রাও খেলাধুলো খুব ভালবাসেন। আমরা চাইব, ওঁরা যেন মাঠে গিয়ে এবার খেলা দেখার সুযোগ পান। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ক নিয়মিত আলোচনা চালাচ্ছি। এর মধ্যে মাঠে দর্শক প্রবেশের ব্যাপারটাও আছে। চূড়ান্ত অনুমতি পেলেই আমরা বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসব। জানতে চাইব, বিসিসিআই কত সংখ্যক দর্শক মাঠে চায়।’’