এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের পর এবার আইসিসিআই ব্যাঙ্ক। ফের ভারতীয় সংস্থায় বিনিয়োগ করল পিপলস ব্যাংক অফ চায়না। চীনের কেন্দ্রীয় সংস্থার এই বিনিয়োগ নিয়ে রীতিমতো গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। দেশজুড়ে যখন চীনা পণ্যের বয়কটের ডাক উঠছে, তখন চীনা সংস্থার বিনিয়োগ গ্রহণ করা হল কেন? প্রশ্ন বিরোধীদের।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, সদ্যই আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক বাজার থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার মূলধন তুলেছে। মোট ৩৫৭টি সংস্থা ব্যাঙ্কটির শেয়ার কিনেছে। এর মধ্যে চীনের পিপলস ব্যাঙ্ক বিনিয়োগ করেছে ১৫ কোটি টাকার। অন্যান্যদের মধ্যে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে সিঙ্গাপুর সরকার। তবে, সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ অবশ্য বাড়িয়েছে চীনের ব্যাঙ্কের এই বিনিয়োগ। মাস তিনেক আগেই এইচডিএফসি লিমিটেডের বিপুল শেয়ার কিনেছে ‘পিপলস ব্যাংক অফ চায়না’। তার আগেও এইচডিএফসি-র ০.৮ শতাংশ শেয়ার কিনেছিল পিপলস ব্যাঙ্ক অফ চায়না। অর্থাৎ, এই মুহূর্তে সব মিলিয়ে এইচডিএফসির প্রায় ২ শতাংশ শেয়ারের মালিক পিপলস ব্যাঙ্ক অফ চায়না। এবার আইসিসিআই ব্যাঙ্কেও ১৫ কোটি টাকার শেয়ার কিনে ফেলল চীনের ব্যাঙ্কটি। যা চিন্তা বাড়াবে ভারতের বিনিয়োগকারীদের।
উল্লেখ্য, লাদাখ সীমান্তে প্রায় মাস পাঁচেক ধরে অশান্তি চলছে। এমনকী চীন সীমান্তে চার দশক বাদে রক্তপাতও হয়েছে। চীনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহীদও হয়েছেন। এই ঘটনার পরই দেশজুড়ে চীনা পণ্য বয়কটের ডাক ওঠে। এমনকী, ভারত সরকারও চীনের বেশ কয়েকটি অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বস্তুত দেখা যাচ্ছে চীনা সরকার এবং ভারতে চীনের বিনিয়োগের শিকড় আরও গভীরে। বিরোধীদের আশঙ্কা, ব্যাপক আর্থিক মন্দার জেরে বহু ভারতীয় সংস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এবং এই পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে চীন। যদিও অর্থনৈতিক মহলের দাবি, বিদেশি কোনও সংস্থা ব্যাঙ্কের শেয়ারের অংশীদার হলে তাতে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত ভয় নেই।