এবার ‘পিএম কেয়ার্স’ ফান্ড সংক্রান্ত কোনওরকম তথ্য দিতে অস্বীকার করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। তথ্য জানার অধিকার আইনে পিএম কেয়ার্স সম্পর্কিত তথ্য চাইলে আবেদনকারীকে আরটিআই আইনের নির্দিষ্ট ধারা উল্লেখ করে জানানো হয়, পিএমও-তে এই সংক্রান্ত সব তথ্য নেই। তাই তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়।
পিএম কেয়ার্স সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়ে আরটিআই-তে আবেদন করেছিলেন লোকেশ বাত্রা নামে এক অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনীর অফিসার। ২০২০ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত পিএমও-তে প্রতি মাসে কত আবেদন জমা পড়েছে, সে বিষয়ে জানতে চান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ওই আবেদনের জবাবে বলা হয়েছে, ‘আপনি যে তথ্য জানতে চেয়েছেন, তা এই অফিসে এক জায়গায় গচ্ছিত নেই। সেই তথ্য সংগ্রহ করা এবং এক জায়গায় করা এই অফিসের এক্তিয়ার বহির্ভূত। সেটা করা অফিসের স্বাভাবিক কাজকর্মের পক্ষে সঠিক হবে না।’
আরটিআই আইনের ৭(৯) নম্বর ধারার কথাও উল্লেখ করা হয় ওই আবেদনের জবাবে।
দেশে যে কোনও বিপর্যয়ের মোকাবিলা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাস ও লকডাউনের মোকাবিলায় তৈরি করা হয়েছিল ‘পিএম কেয়ার্স’ নামে আলাদা একটি তহবিল। সেই তহবিলে যে কেউ দান করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থাকতেও আলাদা করে কেন ‘পিএম কেয়ার্স’ তহবিল তৈরি করতে হল, তা নিয়ে শুরুর সময়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। পরবর্তীকালে ওই তহবিলে কে কত টাকা দান করেছেন, সেই টাকা কোন খাতে কত খরচ হয়েছে, তার হিসাব প্রকাশ্যে আনার দাবিও জানিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলি। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি শাসক দল। এবার আরটিআই-এর আবেদনও ফেরানো হল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা ‘আইনের অপব্যবহার’। তথ্য কমিশনের প্রথম কমিশনার ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ্ বলেন, ‘এর মধ্যে কোনও অস্পষ্টতা নেই। এটা আইনের ওই ধারার অপব্যবহার।’