আজ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে লিপজিগের মুখোমুখি হতে চলেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। মধ্যরাতে লিসবনের এস্তাদিও হোসে আলভালাডে’তে নামার আগে কিছুটা হলেও চাপে দিয়েগো সিমিওনে-ব্রিগেড। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ছিটকে গিয়েছেন প্রথম একাদশের দুই নিয়মিত ফুটবলার অ্যাঞ্জেল কোরিয়া এবং সিমে ভ্রালকো। স্বাভাবিকভাবেই বাকি ফুটবলাররা আতঙ্কে ভুগছেন। তবে যাবতীয় প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে প্রতিযোগিতার শেষ চারে উঠতে মরিয়া দিয়েগো কোস্তারা।
ইউরোপের সেরা টুর্নামেন্টে গত কয়েক মরশুম দারুণ কেটেছে মাদ্রিদের ক্লাবটির। ২০১৬ সালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে টাই-ব্রেকারে হেরে খেতাব হাতছাড়া করলেও, শেষ সাত বছরের মধ্যে পাঁচবারই শেষ আটে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে আতলেতিকো। কোচ হিসেবে গত ছ’টি মরশুমে একাধিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছেও খেতাব হাতছাড়া করতে হয়েছে কোচ সিমিওনেকে। যার মধ্যে অবশ্যই ২০১৬ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল রয়েছে। তবে চলতি মরশুমে দল যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে ফের একবার খেতাব জয়ের লক্ষ্যে নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিতে মরিয়া মাদ্রিদের ক্লাবটি।
উল্লেখ্য, প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকে ঘরে-বাইরে হারিয়ে চমক দিয়েছিল তারা। পাশাপাশি ফাইনালের পথটাও খুব একটা কঠিন নয় তাদের জন্য। প্রথমবারের জন্য শেষ আটে পৌঁছান লিপজিগকে হারাতে পারলেই সেমিতে পিএসজি অথবা আটালান্টার মুখোমখি হবে সিমিওনে-ব্রিগেড। তাই এইসময় নিজের পুরনো অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই জিততে মরিয়া আতলেতিকো মাদ্রিদ।