দেশে কোভিড সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তে থাকায় আজ ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে যোগ দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আজকের এই বৈঠকেও তিনি কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের বকেয়া টাকা জলদি মিটিয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দাবি জানালেন, রাজ্যকে করোনা মোকাবিলায় আরও নাজাল ক্যানুলাস ও ভেন্টিলেটর দেওয়া হোক।
গত ২৭ জুলাই তিন রাজ্যের নাইসেড ল্যাবে অত্যাধুনিক কোভিড টেস্টের যন্ত্র উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ভিডিও কনফারেন্সেও উপস্থিত হয়ে বকেয়া অর্থ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনও ভার্চুয়াল বৈঠকে মোদীর উদ্দেশে মমতা বলেন, “বাংলা এখনও পর্যন্ত জিএসটি বাবদ রাজ্যের যে অংশ পাওনা রয়েছে, তার চার হাজার ১৩৫ টাকা পেয়েছে। এ ছাড়াও কেন্দ্রের কাছে সমস্ত খাত মিলিয়ে বাংলার বকেয়া রয়েছে ৫৩ হাজার কোটি টাকা।”
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, কী ভাবে বাংলায় সরকারি ও সরকার অধিগৃহীত বেসরকারি কোভিড হাসপাতালগুলিতে বিনামূল্যে করোনার চিকিৎসা হচ্ছে। তা ছাড়াও সেফ হোমের পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টেলি মেডিসিন সার্ভিস বর্তমানে খুবই কাজে দিচ্ছে। রোগীরাও উপকৃত হচ্ছেন। এই কাজে সদ্য ডাক্তারি পাশ করাদের নিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
করোনা মোকাবিলায় কী ভাবে বাংলার আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বারংবার সার্ভে করছেন তারও পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আড়াই কোটি বাড়িতে অন্তত ৩০ কোটি বার পৌঁছেছেন আশা কর্মীরা। তাতে প্রায় আড়াই লক্ষ সারি কেস চিহ্নিত হয়েছে বাংলায়। এছাড়াও, উপসর্গহীন, মৃদু উপসর্গের রোগীদের বাড়ি বা সেফ হোমে রাখা এবং গুরুতর রোগীদের হাসপাতালে রাখা- এই ভাবে ভাগ করেই চিকিৎসা প্রক্রিয়া চালানোয় রাজ্যে সুফল মিলছে বলেও দাবি করেন মমতা। পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, এর ফলে বাংলায় মৃত্যু হারও অনেকটা কমেছে।