ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে নেমেছে সকলেই। কিন্তু কোনটা ব্যবহারে মিলবে সাফল্য? কীভাবে তা ব্যবহার করা হবে? তা নিয়ে কেন্দ্র সরকার গাইডলাইন দিক। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে এমনই দাবি জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছে আরও হাই ফ্লো নাসাল ক্যাননুলা ও ভেন্টিলেটর চাইল বাংলা। রাজ্যের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্রও। পাশাপাশি, বৈঠক থেকে রাজ্যের বকেয়া টাকা মেটানোরও দাবি জানিয়েছেন মমতা।
দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, ১০ রাজ্যেই ছড়িয়ে ৮০ শতাংশ করোনা আক্রান্ত। সেই তালিকায় নাম রয়েছে বাংলারও। সেই সূত্র ধরেই এদিন বাংলা-সহ ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ভার্চুয়াল বৈঠকেই করোনা মোকাবিলায় বাংলার কর্মকাণ্ডের খতিয়ান তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও সরকার যে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালকে অধিগ্রহণ করেছে, সেইসব হাসপাতালে বিনামূল্যে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে। বিনামূল্যে মিলছে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবাও। বৈঠকে রাজ্যের সেফ হোম, টেলি মেডিসিন, কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলিং-এর সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দেন দেশে প্রথম এই রাজ্যেই চালু হয়েছে কোভিড ক্লাব।
বাড়ি-বাড়ি গিয়ে রোগীর খোঁজ করছেন আশাকর্মীরা। সচেতনতার উপরও জোর দিয়েছে রাজ্য।
তবে শুধু সাফল্যই নয়, রাজ্যে পাওনা-গন্ডা নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরব হন মমতা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রতিরক্ষমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে রাজ্যে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। মমতার দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, কেন্দ্রের কাছে জিএসটি বাবদ ৪ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। কোভিড পরিস্থিতি, উম্পুন মোকাবিলা-সব মিলিয়ে বকেয়া ৫৩ হাজার কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ছেন মমতা। রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামোকে আরও মজবুত করতে কেন্দ্রের কাছে আরও হাই ফ্লো নাসাল ক্যাননুলা ও ভেন্টিলেটর চেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।