বছর ৩৫-এর ওই যুবক স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে দুবাই থেকে ফিরছিলেন৷ বন্দে ভারত মিশনের ওই এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস প্লেনে ওঠার আগে এয়ারপোর্টে বসেই ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন শারাফু পিলাসেরি৷ ফেসবুক আপডেটে লেখা ছিল, ‘অবশেষে ঘরে ফিরছি৷’ কোঝিকোড়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটিতে যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন পিলাসেরি৷
শারাফু পিলাসেরি কেরলের কুন্নামঙ্গলমের বাসিন্দা৷ মেয়ে ইশা ফতিমা ও স্ত্রী আমিনা শেরিনকে নিয়ে দুবাইয়ে কাজের সূত্রে থাকতেন৷ অনেক দিন ধরে চষ্টা করার পরে বন্দে ভারত মিশনের টিকিট পান তিনি৷ বাড়ি ফেরার আনন্দে শুক্রবার সকাল থেকেই মশগুল ছিলেন তিনি৷
ফেসবুকে তাঁর শেষ পোস্টে দেখা যাচ্ছে, পিলাসেরি বাড়ি ফেরার আগে কিছু গরিব মানুষকে আর্থিক সাহায্য করেন৷ বন্ধুর হাতে কিছু টাকা তুলে দিয়ে বলেছিলেন, ‘যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে, তাঁদের এই টাকাটা দিয়ে দিস৷’ তারপরে তিনি এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা হন৷ বাকিটা মর্মান্তিক৷
১৯১ জন ছিলেন ওই বিমানে৷ ১৭২ জন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন৷ এঁদের মধ্যে ১৬ জনের শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক৷ অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ পুরী জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টিতে রানওয়ে পিছল হয়ে গিয়েছিল৷ ফলে ফ্লাইটের চাকা রানওয়ে ছুঁতেই হড়কে যায়৷
উড়ানের পরিভাষায় কোঝিকোড় টেবলটপ বিমানবন্দর। এই ধরনের বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে রানওয়ে থাকে পাহাড় বা মালভূমির উপরে। তার পরেই থাকে গভীর খাদ। ফলে এই ধরনের বিমানবন্দরে বিমান নামানো কঠিন। কোঝিকোড় বিমানবন্দরের সুরক্ষার মান নিয়ে ২০১৯ সালে প্রশ্ন তুলেছিল ডিজিসিএ। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে শো-কজ নোটিসও দেওয়া হয়।