লকডাউন পর্বে রেলের আয়ের ভাঁড়ার সেভাবে ভরেনি। পণ্যবাহী ট্রেন চালু থাকলেও শিল্পক্ষেত্রে চাহিদা তলানিতে এসে ঠেকায় পণ্য পরিবহণ থেকে আয় হয়নি তেমনি। সারা দেশে বেশির ভাগ যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে না। লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি পাওয়ায় একাধিক বার রেলকে অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের টাকা ফিরিয়ে দিতে হয়েছে। এই অবস্থা থেকে খানিক স্বস্তি পেতে কিছুদিন আগেই একটি নির্দেশিকায় রেল বোর্ডের তরফে প্রত্যেক আধিকারিককে অনুরোধ করা হয়েছে ডাক মেসেঞ্জারদের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া নেওয়ার পরিবর্তে যে কোনও যোগাযোগের জন্যে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সুবিধে ব্যবহার করতে। বন্ধ করে দেওয়া হবে ১৬০ বছর পুরনো ডাক ব্যবস্থা। এবার সেই পথেই হেঁটে আরও এক শতাব্দী প্রাচীন পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। ব্রিটিশ যুগ থেকে চলে আসা আরও একটি পদের বিলুপ্তি হতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি।
রেলের উচ্চ পদস্থ কর্মীদের বাসভবনে টেলিফোন অ্যাটেনডেন্ট এবং ডাক খালাসির (টিএডিকে) কাজ করা বাংলো পিওনের পদও উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। বৃহস্পতিবার রেল বোর্ডের তরফে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এই সিদ্ধান্তের কথা। ব্রিটিশ যুগ থেকে চলে আসা এই প্রথার অব্যবহার নিয়ে বহুবার অভিযোগ উঠেছে রেল আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। রেল বোর্ড স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এই পদে আর কোনও নতুন নিয়োগ হবে না। এখানেই শেষ নয়। ১ জুলাই, ২০২০ থেকে এই পদে যাঁদের যোগ দেওয়ার কথা ছিল, তাঁদের চাকরির শর্তও রিভিউ করবে রেল বোর্ড। রেলের প্রতি শাখা এবং বিভাগে এই নির্দেশ মেনে চলার ঘোষণা করা হয়েছে এই নোটিশে। গ্রুপ ডি বিভাগের অস্থায়ী কর্মী হিসেবেই শুরুতে বিবেচিত হন টিএডিকে কর্মীরা। কর্মক্ষেত্রে ৩ বছর পূরণ করার পর দিতে হয়ে স্ক্রিনিং টেস্ট। সেই পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই চাকরি পাকা হয়।