এই মহামারীর আবহে বিহারে ভোট হলে রাজনীতিক ও ভোটদাতা, উভয়পক্ষই বিপদে পড়বেন। শুক্রবার এই যুক্তি দেখিয়ে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেন লোক জনশক্তি পার্টির নেতা চিরাগ পাসোয়ান। চিরাগ পাসোয়ান চিঠিতে লিখেছেন, “কোভিড ১৯ অতিমহামারী গুরুতর রূপ নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অক্টোবর-নভেম্বর মাস নাগাদ বিহারে অতিমহামারী আরও প্রবল হয়ে উঠবে। এই সময় আমাদের উচিত মানুষের জীবন বাঁচানো। ওই সময় ভোট করা উচিত নয়।”
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডি ইউ-এর শরিক লোকজনশক্তি পার্টি এদিন নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে বলেছে, বিহারে নির্ধারিত সময়ে ভোট হওয়া উচিত নয়। এর আগে বিহারে বিরোধীরা একই দাবি করেছিলেন। এবার এনডিএ-র এক শরিকও তাদের সঙ্গে সুর মেলাল।
চিরাগ পাসোয়ানের বক্তব্য, অতিমহামারীর মধ্যে ভোট হলে যাঁরা করোনা পজিটিভ তাঁরা ভোট দিতে পারবেন না। তিনি লিখেছেন, “বিহারের জনসংখ্যা ১৩ কোটি। তাঁদের মধ্যে ভোটার আট কোটি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাঁদের পক্ষে ভোট দেওয়া সম্ভব নয়। যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা কীভাবে ভোট দেবেন? কনটেনমেন্ট জোনেই বা কীভাবে ভোট হবে?”
প্রসঙ্গত, বিহারে শুক্রবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৪৭৭ জন। মারা গিয়েছেন ২৮০ জন।