সরকারি নির্দেশিকা পেয়েই নয়া বাসভবনের খোঁজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। জানিয়েছিলেন, সময়ের আগেই খালি করে দেবেন বাংলো। কথা রাখলেন কংগ্রেস নেত্রী।
চলতি মাসের প্রথমদিন প্রিয়াঙ্কাকে নোটিস দিয়ে কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোয়ন্ননমন্ত্রক জানিয়েছিলেন, ১ আগস্টের মধ্যে দিল্লীর লোধি রোডের বাংলো ছাড়তে হবে। ২ দিন আগে বৃহস্পতিবারই দিল্লীর লোধি রোডের বাংলো খালি করে দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সোনিয়া কন্যার ছেড়ে যাওয়া বাংলোর নতুন বাসিন্দা হতে চলেছেন রাজ্যসভায় বিজেপির নতুন সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় প্রধান মুখপাত্র অনিল বালুনি।
প্রাথমিকভাবে এই প্রসঙ্গে শুরু হয় বিতর্ক। কংগ্রেসের কোনও এক উচ্চপদস্থ নেতা প্রিয়াঙ্কাকে এই বাড়িতে থাকতে দেওয়ার অথবা ৩৫ লোধি রোডের বাংলো কোনও কংগ্রেস সাংসদকেই দেওয়ার আবেদন করেছেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রিয়াঙ্কাকে খুব বেশি হলে অতিরিক্ত এক মাস সময় দেওয়া যেতে পারে বলে জানান পুরি। যার তীব্র প্রতিবাদ করে প্রিয়াঙ্কা জানান, তিনি কখনওই এই ধরনের আবেদন করেননি। উল্টে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ছেড়ে দেবেন বাংলো। সেইমতো দু’দিন আগেই বাংলোর যাবতীয় কাগজ ও চাবি তিনি জমা করে দিয়েছেন। উল্লেখ্য ১৯৯৭ সাল থেকে এই বাংলোয় ছিলেন প্রিয়াঙ্কা।
৩৫ লোধি রোডের বাংলো ছাড়ার পর থেকেই বিভিন্নমহলে আলোচনা চলতে থাকে যে, প্রিয়াঙ্কার পরবর্তী ঠিকানা কী হতে চলেছে? একটি মহলের বক্তব্য, যেহেতু তিনি উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বে তাই সেখানের রাজধানী লখনউতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠতে পারেন প্রিয়াঙ্কা।