এতকালেও যা হয়নি, এবার সেটাই হতে চলেছে এই মোদী জমানায়। শীঘ্রই নাম বদল হতে চলেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের। নতুন নাম হতে চলেছে ‘মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন’ বা শিক্ষামন্ত্রক। এক দল বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে এমনই সুপারিশ করেছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। আগামী বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকেই এ বিষয়ে সিলমোহর পড়তে পারে বলে সূত্রের খবর। একই সঙ্গে নতুন ‘জাতীয় শিক্ষানীতি’র খসড়া প্রস্তাবেও ওই দিনই মন্ত্রীসভা সবুজ সঙ্কেত দিতে পারে বলে খবর।
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিকের সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসরোর প্রাক্তন প্রধান কে কস্তুরিরঙ্গনের নেতৃত্বে এক দল বিশেষজ্ঞকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটিই এই নতুন নাম সুপারিশ করেছে। মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত খসড়া প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছে। নয়া শিক্ষানীতির খসড়ার সঙ্গেই এই সুপারিশ রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই নাম পরিবর্তনে সংশ্লিষ্ট মহলের কোনও পক্ষেরই আপত্তি নেই। যদিও এ বিষয়ে মন্ত্রীসভাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
অন্য দিকে শিক্ষানীতিতেও বেশ কিছু বড়সড় রদবদল আসতে পারে বলে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রে খবর। দেশে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে একাধিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা রয়েছে। সেগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে একটি নতুন কমিশন বা পর্ষদ গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। তার জন্য রয়েছে দু’টি নামের প্রস্তাব— ন্যাশনাল হায়ার এডুকেশন রেগুলেটরি অথরিটি (এনএইচইআরএ) অথবা হায়ার এডুকেশন কমিশন অব ইন্ডিয়া (এইচইসিআই)। আবার অনেক বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের নামের সঙ্গে ‘পাবলিক’ শব্দটি ব্যবহার করেন। নয়া নীতিতে সেটি বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।