মঙ্গলবার সকালে বারুইপুর থানার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের চেম্বারের উঠোন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবকের দেহ উদ্ধারকে ঘিরে রহস্য ছড়াল। মৃতের নাম সিরাজ খাঁ। তার দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি চেলা কাঠ। তার মাথার মাঝে আঘাতের চিহ্ন আছে।
থাকতে দেখে বারুইপুর থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই এলাকায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক গণেশ সাহা তার বাড়ির সামনে চেম্বার চালান। একই সঙ্গে তার পরিবারের কোচিং সেন্টার চলে। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, রাত ১১টার পরেও কোনও লোককে দেখা যায়নি। সকালে দেখতে পাওয়া যায় চেম্বারের উঠোনে রক্তাক্ত দেহটি পড়ে আছে। পাশে চেলা কাঠও পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে পুরপিতাকেও খবর দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির বাড়ি লক্ষ্মীকান্তপুরে। তিনি ফেরি করেন। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে লোহা-লক্কড় সংগ্রহের কাজ করেন। বারুইপুরেও কাজের জন্য আসতেন। তার আত্মীয় বাবলু শেখ বলেন, বাড়ি লক্ষ্মীকান্তপুর হলেও মগরাহাটের ঝিনকিরহাটে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। সোমবার স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করে সন্ধের পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ফোনেও পাওয়া যায়নি। এরপর মঙ্গলবার সকালে বারুইপুরে দেহ পাওয়া যায়।