করোনা আবহে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মানতে গিয়ে ক্রমেই যেন অমানবিক হয়ে উঠছে মানুষ। সাম্প্রতিক রাজ্যের বেশ কয়েকটি ঘটনায় এমন নজিরই সামনে এসেছে। রবিবার আর সোমবার বনগাঁ, উত্তর কলকাতার শ্যামপুকুর ও বেহালার সাহাপুরের তিনটি ঘটনা যেন আরও বেশি করে সেই অমানবিকতার বিষয়টিকে আরও প্রকট করে দিচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে এবার করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হল কলকাতা পুরসভা।
পুরসভা সূত্রের খবর, যেহেতু করোনাজয়ীদের শরীরে ইতিমধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে, তাই তাঁদের পুনরায় সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা কম। সেই কারণেই এঁদের কাজে লাগানো হবে বলে জানানো হয়েছে। অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে ওই কল সেন্টার। তিনটি শিফটে সেখানে উপস্থিত থাকবেন করোনাজয়ীরা। সেখান থেকে পাওয়া যাবে টেলি মেডিসিনের সুবিধাও। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে আক্রান্তদের ওষুধ দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে তাঁদের হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন করোনাজয়ীরা। প্রয়োজনে বাইকে করেই হাসপাতালে আক্রান্তদের পৌঁছে দেওয়া হবে।
কম বয়সী করোনাজয়ীদেরই এই কাজে লাগানো হবে। বিশেষ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাঁদের ১৫ হাজার টাকা করে মাসিক সাম্মানিকও দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, করোনাজয়ীদের কাজে লাগালে তাঁদের মাসিক সাম্মানিক দেওয়ার বিষয়টি আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, এই কাজে যে করোনাজয়ীরা যোগ দেবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে একটি শর্তই দেওয়া হয়েছে। সেটি হল, ওই করোনাজয়ীদের প্রত্যেকের বাইক থাকতে হবে।
জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরো এলাকাতেই এবার কলসেন্টার চালু করা হচ্ছে। সেখানে থাকবেন করোনা জয়ীরা। আক্রান্তের তরফে তাঁদের কাছে ফোন গেলেই উদ্যোগী হবেন তাঁরা। প্রয়োজনে ওই করোনাজয়ীরাই পৌঁছে যাবেন আক্রান্তের বাড়িতে, ব্যবস্থা করবেন রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার। খুব শীঘ্রই এই পরিষেবা চালু হবে বলে জানিয়েছেন পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ।