করোনা সংক্রমণ রুখতে সেই মার্চের শেষ থেকে টানা লকডাউন চলছে দেশে। সম্প্রতি লকডাউন বিধি একটু শিথিল হলেও এতদিনে আর্থিক মন্দার জেরে অনেক সংস্থাই বিপুল কর্মী ছাঁটাই করেছে। যার ফলে বেড়েছে বেকারত্ব। এবং এই বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি গ্রামীন ভারতেই। উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র পরিসংখ্যান দেখাল, টানা দু’সপ্তাহে গ্রামে বেকারত্বের হার ঊর্ধ্বমুখী। বরং নিম্নমুখী শহরাঞ্চলে। দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে সার্বিক ভাবে দেশেও তা ১৫ দিন পরে ফের ঢুকেছে ৮ শতাংশের ঘরে।
এই অবস্থায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, প্রধানমন্ত্রী যেখানে গ্রামে ফেরা মানুষদের জন্য ঘরের কাছে কাজের কথা বলছেন, সেখানে গ্রামাঞ্চলেই বেকারত্ব বৃদ্ধি সেই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে মেলে কি? হিসেব বলছে, ২৬ জুলাই ফুরনো সপ্তাহে গ্রামে বেকারত্ব ৭.৬৬ শতাংশ। শহরে ৯.৪৩ শতাংশ। ১৯ জুলাই শেষ সপ্তাহে তা ছিল যথাক্রমে ৭.১০ শতাংশ ও ৯.৭৮ শতাংশ। দেশে ৭.৯৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮.২১ শতাংশ। শহরে বেকারত্ব কমা এবং গ্রামে বৃদ্ধির এই ছবি দেখা গিয়েছিল ১৯ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহেও।
সমীক্ষা অনুযায়ী, বড় শহরগুলিতে বেকারত্ব কমার কারণ ‘আনলক’ পর্বে অসংগঠিত ক্ষেত্রের অনেকের কাজে ফেরা। যেমন, লকডাউন শিথিলের পরে বহু বাড়িতে কাজে ফিরছেন পরিচারক-পরিচারিকারা। ভাড়ার আশায় অ্যাপ-ক্যাব, ট্যাক্সি, অটোরিকশা, ই-রিকশার চালকেরা পথে নামছেন। রুজির সন্ধানে কাজে বেরোচ্ছেন এমন আরও অনেকে।
অন্যদিকে, কাজ হারিয়ে গ্রামে ফিরে সেখানেই রোজগারের চেষ্টা করছেন লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। কাজ খুঁজছেন শহরে কাজ না পেয়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরা অন্য কর্মীরাও। ফলে সেখানে কর্মপ্রার্থীর সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে শুধু একশো দিনের কাজ বা প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ রোজগার প্রকল্পের জোরে কাজের জোগান আর যথেষ্ট রাখা যাচ্ছে না।