‘আপনি নন, কিন্তু কেউ কেউ অসহযোগিতা করছেন, যা কাম্য নয়। সবাই তো নির্বাচিত, সকলে মিলে আসুন না কাজ করি।’ ভিডিও কনফারেন্সে আইসিএমআর-এর উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন ল্যাবরেটরি উদ্বোধনে নাম না করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী। এও জানালেন যে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। কেন্দ্র সাহায্য করছে। কিন্তু সাংবিধানিক পদে থেকে অন্য কেউ সরকারের কাজে বারবার বাধা তৈরি করতে চাইছে।
এরপর রাজ্যের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে খুঁটিনাটি জানালেন নরেন্দ্র মোদীকে। করোনার বাড়বাড়ন্ত সংক্রমণের মাঝে এত উন্নত পরীক্ষাগার বাংলায় হওয়ায় কেন্দ্রকে ধন্যবাদ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদির কাছে মমতার সরাসরি আবেদন, ”আমরা পুরো বিনামূল্যে করোনার চিকিৎসা করছি। প্রধানমন্ত্রীজি, আপনি গোটা বিশ্বকে জানান যে বাংলায় করোনা চিকিৎসা একেবারে বিনামূল্যে হচ্ছে। এই দৃষ্টান্ত কোথাও নেই।
করোনা আক্রান্ত যারা মৃদু উপসর্গযুক্ত, তাঁদের জন্য বাংলার ‘সেফ হাউস’ এমনিতেই কেন্দ্রের প্রশংসা পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সে কথা উল্লেখ করে বললেন, এই সেফ হাউস বা সেফ হোম একেবারে ‘সুইট হোম’এর সঙ্গে তুলনীয়। যেখানে সকলে বাড়ির পরিবেশ, বাড়ির আদরযত্ন পাচ্ছেন, তাও বিনামূল্যে। করোনাজয়ীদের নিয়ে কোভিড ক্লাব, প্লাজমা ব্যাংক – করোনা যুদ্ধে বাংলার লড়াইয়ের সমস্ত খুঁটিনাটি তুলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুল ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এরপর তিনি অনুরোধ জানান, রাজ্যের পাওনা বকেয়া টাকা যেন কেন্দ্র যত দ্রুত সম্ভব দিয়ে দেয়। নাহলে করোনা মোকাবিলায় ভালভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। জিএসটির বকেয়াও চাইলেন।