সংক্রমণ বৃদ্ধির গতিতে গোটা পৃথিবীর মধ্যে ভারত এখন পয়লা নম্বর স্থান অর্জন করেছে। তবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে ভারত আমেরিকা ও ব্রাজিলের থেকে এখনও পিছিয়ে রয়েছে বলেই দাবি করেছে মার্কিন সংস্থা ব্লুমবার্গের কোভিড-ট্র্যাকার। জানা গেছে, ভারতে গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে ২০ শতাংশ বেড়েছে সংক্রমণের হার।
আগের তুলনায় গত কয়েকদিন ধরেই ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। অনেক মানুষ সুস্থ হলেও সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মোট আক্রান্তের বিচারে এখন বিশ্বে এক নম্বরে আমেরিকা। এর পরেই রয়েছে ব্রাজিল। কিন্তু ভারতে দৈনিক সংক্রমিত বৃদ্ধির হার ওই দুই দেশের থেকে বেশি। এদিন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রক যে হিসেব দিয়েছে তাতে আগের ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। এতেই দেখা যাচ্ছে, নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে ভারতে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৯ হাজার ৯৩১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪৫৩ জন। গত শুক্রবার থেকেই প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ঘোরাফেরা করছিল ৪৯ হাজারের গণ্ডিতে। সোমবার প্রথমবার একদিনে আক্রান্ত হলেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। ফলে এই মুহূর্তে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। সেইসঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্রায় ৩২ হাজার মানুষ। এর ফলে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৯ লাখ পেরিয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার প্রায় ৬৪ শতাংশ।
ব্লুমবার্গের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্নাটক-সহ কিছু রাজ্যে প্রতিদিনই প্রায় লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হলেও তা অন্য দেশের তুলনায় কম বলেও দাবি করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী রবিবার ভারতে ৫,১৫,৪৭২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ব্লুমবার্গের দাবি, টেস্টের অভাবেই দেশে সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।