ক্রমশই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে আসাম-বিহারের বন্যা পরিস্থিতি। গতকাল আসামে মারা গিয়েছেন আরও পাঁচজন। সব মিলিয়ে দুই রাজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪০ লক্ষ মানুষ। সূত্রের খবর অনুযায়ী রাজ্যে এখন বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১০২। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন মারা গিয়েছেন জলে ডুবে। এছাড়া রাজ্যের নানা প্রান্তে ধস নেমে মারা গিয়েছেন ২৬ জন।
বিহারে ভাগলপুর অঞ্চলে কাহালগাঁওতে গঙ্গা বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। গণ্ডক নদীতে বন্যা হয়ে আরও বহু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। জলসম্পদ দফতর থেকে বলা হয়েছে, পাটনা ও মুঙ্গের শহরে গঙ্গা ফুলেফঁপে ওঠায় নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হয়েছে। বাগমতী, বুড়ি গণ্ডক, কামলা, আধওয়ারা ও মহানন্দাও বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে।
বিহারে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চম্পারণ ও মিথিলাঞ্চল এলাকা। এনডিআরএফ এবং স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স সেখান থেকে বহু মানুষকে উদ্ধার করেছে। সূত্রের খবর, বুড়ি গণ্ডক নদীর জলে প্লাবিত এলাকা থেকে উদ্ধার করে আনার সময় এনডিআরএফের নৌকায় এক মহিলা সন্তান প্রসব করেছেন। তিনি পূর্ব চম্পারণ জেলার গোবারি গ্রামের বাসিন্দা। রবিবার দুপুর ১ টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ তিনি সন্তানের জন্ম দেন।
আসামের ৩৩ টি জেলার মধ্যে ২৩ টি পড়েছে বন্যার কবলে। রাজ্যে মোট ২২৬৫ টি গ্রামের ২৫ লক্ষ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোয়ালপাড়া জেলা। সেখানে বন্যাদুর্গতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭০ হাজার। বরপেটা জেলায় ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার এবং মরিগাঁওতে ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যাদুর্গত ১৬ টি জেলায় গৃহহীন হয়েছেন ৪৬ হাজার মানুষ। তাঁরা আছেন ৪৫৭ টি রিলিফ ক্যাম্পে।