শনিবার ভোরবেলা পাটুলি থানা এলাকায় মদের দাম কে কত দিয়েছে তা নিয়ে বচসার জেরে প্রকাশ্য রাস্তায় খুন। যে জায়গায় খুনটি হয়েছে সেটি বাঘাযতীন উড়ালপুলের দক্ষিণ দিকে ইএম বাইপাসের কাছে। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ধরা পড়ে যায় আততায়ী। কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছিল আততায়ীর একটি হাত কাটা। সেই অনুযায়ী পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। পাকড়াও হয় অভিযুক্ত।
মৃত সুভাষচন্দ্র শর্মা পেশায় রিকশাচালক। তাঁর বাড়ি বাঘাযতীন রেল কলোনিতে। পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকেই খবর পায়, এক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতকে উদ্ধার করে বাঘযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মৃত এবং আততায়ী দু’জনেই গভীর রাত পর্যন্ত মদ্যপান করে। ভোরবেলা গন্ডগোল শুরু হয় কে কত মদের দাম দিয়েছে তা নিয়ে। সেখান থেকেই বচসা। তার জেরেই খুন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুভাষের সঙ্গে আততায়ীর বচসা হচ্ছিল। তার মধ্যেই হঠাৎ আততায়ী মাথায় টালির টুকরো দিয়ে আঘাত করে। তার পরেই চম্পট দেয় সে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, আততায়ীর একটা হাত কাটা। সে-ও পেশায় রিকশাচালক। সেই সূত্রে ধরেই তল্লাশি চালাতে গিয়ে শনিবার দুপুরে পাকড়াও করা হয় আততায়ী সেলিম হালদারকে। সে সুভাষগ্রামের বাসিন্দা।