টানা লকডাউন করেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিস্তার মেলেনি। বরং আনলক-১ শুরুর পর থেকেই লাগামহীন হয়ে পড়েছে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে আজ লকডাউন জারি ছিল। কিন্তু সেই লকডাউন সাধারণ মানুষের অধিকাংশই স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানলেও এখনও অনেকেই এর গুরুত্ব বুঝতে পারছেন না।
সেই কারণেই কোনও প্রয়োজন ছাড়া এদিনও রাস্তায় বেরিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু এবার আরও কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমেছে প্রশাসন। আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত শুধু কলকাতায় লকডাউন অমান্য করায় গ্রেফতার (আটকও) করা হয়েছে ৮৮৬ জনকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩০টি গাড়ি। এখানেই শেষ নয়, মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরোনোর জন্যে গ্রেফতার (আটকও) করা হয়েছে ৫৫২ জনকে। প্রকাশ্যে থুতু ফেলার জন্যেও আর কোনও ছাড় নয়। এদিন প্রকাশ্যে থুতু ফেলার জন্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪০ জনকে। এই সময়ের মধ্যে ৫২টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
ভাইরাস সংক্রমণের বৃদ্ধি রুখতে ইতিমধ্যেই সপ্তাহে দুদিন লকডাউন কার্যকরী করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সেই প্রেক্ষিতে আপাতত আজ, শনিবার এবং পরবর্তী বুধবার লকডাউন কার্যকরী হবে রাজ্যে। এইজন্য জরুরী পরিষেবা ছাড়া একাধিক পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে। কিন্তু সংক্রমণ বৃদ্ধি হলেও সচেতনতা এখনও বাড়েনি কিছু সংখ্যক মানুষের মধ্যে। লালবাজারের এই কড়া পদক্ষেপ তারই প্রমাণ দিচ্ছে।
এদিন কলকাতায় ৩০টি পয়েন্টে ছিল বিশেষ নাকা চেকিংয়ের বন্দোবস্ত। সেখানে গাড়ি আটকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে প্রত্যেককে। বাইরে বেরোনোর কারণ জরুরি না হলেই পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, আগে থেকেই পুলিশকে সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, রাস্তায় মানুষের জটলা দেখা মাত্রই তাঁদের প্রথমে বাড়ি চলে যেতে বলা হবে। তাতেও না শুনলে লকডাউন ভাঙার অপরাধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এদিন সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই একটা বড় সংখ্যক মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।