বিসিসিআইয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহের মেয়াদ বাড়বে কি না, তা নিয়ে গতকাল কোনও রায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে ক্রিকেট বোর্ডের আশা জাগিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই মামলা শুনতে রাজি হয়েছে। সূত্রের খবর, গতকালের ‘ভার্চুয়াল সেশনে’ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, দু’সপ্তাহ পরে এই বিষয়টি নিয়ে আদালতে শুনানি হবে।
লোঢা কমিটির সংস্কার অনুযায়ী, কোনও পদাধিকারী ব্যক্তি রাজ্য সংস্থা এবং বোর্ড মিলিয়ে ছ’বছর হয়ে গেলেই তাঁকে তিন বছরের বিশ্রাম বা যেতে হবে। বোর্ড কর্তারা এ নিয়েই পাল্টা আবেদন করেছেন সৌরভ এবং জয় শাহের বর্ধিত মেয়াদের জন্য। বোর্ড আর্জি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট এবং সচিবকে টানা ছ’বছর থাকতে দেওয়া হোক। তার পরে তাঁদের ‘কুলিং অফ’ শুরু হোক। লোঢা-নিয়মে সৌরভের প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী সপ্তাহেই। অন্যদিকে জয় শাহের মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ।
কোনও কোনও বোর্ড কর্তা এ দিন বলছিলেন, ‘‘লোঢা সংস্কারের সব চেয়ে বড় নমুনা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়া। সেটা বিচারপতি লোঢাও স্বয়ং প্রকাশ্যে বলেছেন। সর্বকালের সফলতম অধিনায়কদের এক জন প্রেসিডেন্ট, পুরনো বোর্ডের নিয়ম চললে ভাবাই যেত না। আট মাস থেকে চলে যেতে হলে দুর্ভাগ্যজনকই হবে।’’ চার বছর নির্বাসিত থাকার পরে কর্তারা দখল পেয়েছেন বোর্ডের। সৌরভকে সামনে রেখে নষ্ট হওয়া ভাবমূর্তি ফেরাতে চাইছেন তাঁরা। তাই যত দিন না সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদন নিয়ে রায় দিচ্ছে, সৌরভরা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। অর্থাৎ, আইপিএল নিয়ে আসন্ন বৈঠকেও তাঁরা যোগ দিতে পারছেন।
তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টে বোর্ডের দুর্নীতি নিয়ে যিনি আবেদন করেছিলেন, যাঁর আবেদনের ভিত্তিতে সারা দেশে তোলপাড় পড়ে গিয়ে বোর্ড থেকে অপসারিত হয়েছিলেন এন শ্রীনিবাসন এবং লোঢা কমিটির সংস্কার শুরু হয়েছিল, বিহারের সেই আদিত্য বর্মাও জানিয়েছেন, সৌরভের মেয়াদ বাড়লে আপত্তি নেই। আদিত্যের ‘ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বিহার’-ই এখনও বোর্ডের বিরুদ্ধে লড়ছে। আর এই মামলাতেও বোর্ডের বিপক্ষে তারাই।