রাস্তায় ফল বিক্রি করেই দিন গুজরান হয় এই তরুণীর। কিন্তু সেই আবার ঝরঝরে ইংরেজি ভাষায় বারংবার লকডাউনের প্রতিবাদ করেছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে৷ এমনই এক দৃশ্য দেখে থমকে গিয়েছিলে ইন্দোর শহরের পথচলতি মানুষ৷ ধীরে ধীরে তরুণীকে ঘিরে ভিড় বাড়তে থাকল৷ শেষ পর্যন্ত ওই তরুণীই জানালেন, ফল বিক্রি করলেও তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে৷
বুধবার থেকেই রইসা আনসারি নামে ওই তরুণীর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে৷ ইন্দোরের মালওয়া মিল এলাকায় রাস্তার ওপর ফল বিক্রি করেন ওই তরুণী৷ করোনা সংক্রমণ রুখতে বার বার লকডাউন জারি করা নিয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন তিনি৷ তাঁর অভিযোগ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লকডাউন জারি হওয়ায় ওই এলাকার ফল এবং সবজি বিক্রেতাদের উপার্জন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে৷
রইসা জানিয়েছেন, তিনি পদার্থবিদ্যায় এমএসসি করেছেন৷ ইন্দোরের দেবী আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে মেটেরিয়াল সায়েন্স নিয়ে তিনি গবেষণা শেষ করেছেন বলেও দাবি করেন ওই তরুণী৷ ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, “আজ শহরের একদিকে লকডাউন করা হচ্ছে তো কাল অন্যপ্রান্ত লকডাউন চলছে৷ এর ফলে বাজারে কোনও ক্রেতাই নেই। আর বেচাকেনাও কার্যত বন্ধ৷ আমরা নিজেদের পরিবারের খাবার জোগাব কী করে?” রইসার দাবি, ওই চত্বরে তাঁর মতো অনেকেই পারিবারিক সূত্রে ফলের বিক্রির পেশায় এসেছেন৷
কিন্তু উচ্চশিক্ষিত হয়েও কেন তাঁকে এভাবে ফল বিক্রির পেশাকে তিনি বেছে নিলেন? ক্ষুব্ধ রইসার দাবি, কোনও জায়গায় চাকরি না পেয়েই তাঁকে বাধ্য হয়ে ফল বিক্রি শুরু করতে হয়েছে। আগে তাঁর বাবা এই ব্যবসা দেখাশোনা করতেন৷ রইসা বলেন, “কোথাও কোনও চাকরি জোটাতে পারিনি৷ তার উপর এখন তো সবাই বলছে যে মুসলিমরাই নাকি করোনা ছড়ানোর জন্য দায়ী৷ যেহেতু আমার নাম রইসা আনসারি, তাই কোনও কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাই আমাকে চাকরি দিতে রাজি নয়৷”