মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে রাজ্যজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন। বিভিন্ন জায়গায় কনটেনমেন্ট জোনে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা। যাতে বাইরের মানুষজন এলাকায় ঢুকতে না পারেন, এলাকার বাসিন্দারা যাতে বাইরে যেতে না পারেন। কার্যত গৃহবন্দি রাজ্যবাসী। কিন্তু হাতিদের তো কোনও লকডাউন নেই। তাই তারা নিশ্চিন্তে বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ল লোকালয়ে। শুধু তাইই নয়, ভোররাতে শুনশান শিলিগুড়ি শহরে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াল ৩ টি হাতি।
সূত্রের খবর, বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল থেকে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোগোমালি, চয়নপাড়া, সুকান্তনগর ও পূর্ব বিবেকানন্দ পল্লি সংলগ্ন এলাকার রাস্তা দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘোরাফেরা করতে থাকে এই তিনটি দাঁতাল। রাস্তায় হাতির আনাগোনা টের পেয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। পুলিশ ও বনদফতরের কর্মীরা বিষয়টি জানতে পেরে সকালের দিকে এই তিন হাতিকে ফেরানোর চেষ্টা করেন। একটিয়াশাল-বানেশ্বর মোড়ের পথে জঙ্গলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ ও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে লকডাউনের শহরে নিয়ম ভেঙে দিয়ে গেল ৩ হাতির দল।
আজ সম্পূর্ণ লকডাউনে রাজ্য। ফলে পথেঘাটে পুলিশ ছাড়া অন্য কারও দেখা পাওয়া ভার। সবসময়কার জমজমাট শিলিগুড়ি শহর সারাদিন তো বটেই, রাতেও কার্যত জনমানবহীন। লকডাউন সফল করতে রাস্তায় রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরে সেসব তছনছ করে দিল তিনটি দাঁতাল। লকডাউনের শান্ত নিঝুম শহরে কনটেনমেন্ট জোনের বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে শহরের ভিতর নিশ্চিন্তে প্রবেশ করে ওই তিনজনের দলটি। বেশ কিছুক্ষণ শহরে অবাধে বিচরণ করল তারা। ক্ষতি হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িরও।