মোট আক্রান্তের নিরিখে আগেই চীন, ইরান, ইতালি, স্পেন, ব্রিটেনকে টপকে গিয়েছিল ভারত। সম্প্রতি রাশিয়াকে পিছনে ফেলে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। তারপরেও রোজ নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে করোনা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার ১৪৮ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ১১ লক্ষ ৫৫ হাজার ১৯১ জন। আক্রান্তের সঙ্গে সংক্রমণের হারও ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিন যে সংখ্যক মানুষের টেস্ট হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট কোভিড পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণের হার ১১.১ শতাংশ।
শুরু থেকেই মহারাষ্ট্রে বল্গাহীন ভাবে বেড়েছে সংক্রমণ। গোড়া থেকেই এই রাজ্য কার্যত সংক্রমণের শীর্ষে। গত ২৪ ঘণ্টায় আট হাজারেরও বেশি নতুন সংক্রমণের জেরে সে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ৩ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৯৫ জন। প্রায় পাঁচ হাজার বেড়ে তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত এক লক্ষ ৭৫ হাজার ৬৭৮ জন। তুলনায় রাজধানী দিল্লীতে দৈনিক সংক্রমণে বেশ খানিকটা লাগাম পড়েছে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ২৩ হাজার ৭৪৭ জন। আবার বিগত কয়েক দিনে কর্ণাটকে দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছে চার হাজারের আশেপাশে। যার জেরে সংক্রমণ তালিকার চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে দক্ষিণের এই রাজ্য। সেখানে মোট আক্রান্ত ৬৭ হাজার ৪২০ জন।
আক্রান্তের পাশাপাশি ধারাবাহিক ভাবে মৃত্যু বেড়ে ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৫৮৭ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ২৮০৮৪ জনের প্রাণ গেল করোনায়। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ১২ হাজার ৩০ জন। মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা দিল্লীতে প্রাণ গিয়েছে ৩ হাজার ৬৬৩ জনের। ২ হাজার ৫৫১ জনের প্রাণহানি নিয়ে মৃত্যু-তালিকার তৃতীয় স্থানে তামিলনাড়ু। গুজরাতে ২ হাজার ১৬২ জন প্রাণ হারিয়েছেন করোনার কারণে। আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়লেও, ভারতে সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যানটাও বেশ স্বস্তিদায়ক। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৪ হাজার ৪৯১ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সাত লক্ষ ২৪ হাজার ৫৭৭ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হলেন।