চীনা সংস্থার বরাত বাতিল করেছে ভারতীয় রেল। তারপরই দিল্লী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সেই চীনা সংস্থা চায়না রেলওয়ে সিগন্যাল অ্যান্ড কমিউনিকেশন কর্পোরেশন। তাদের দাবি, বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সাহায্য নিয়ে ওই ফ্রেট করিডরটি তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু তাঁরা এই চুক্তি বাতিলে সীলমোহর দেয়নি। অথচ ভারতীয় রেল ওই চীনা সংস্থাকে বরাত বাতিলের চিঠি ধরিয়েছে। এই বিষয় নিয়ে দিল্লী হাইকোর্টে ভারতীয় রেলের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছে তারা।
এদিকে, ভারতীয় রেলের দাবি, বিশ্ব ব্যাঙ্ক এখনও সিলমোহর দেয়নি ঠিকই। তাই এবার নিজেদের তহবিল নিজেরাই জোগার করবে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকবে না তাঁরা। এদিকে বিশ্ব ব্যাঙ্কের অনুদান আটকানোর চেষ্টা করছে চীনা সংস্থাটিও।
ভারতের ৪১৭ কিলোমিটার ফ্রেইট করিডোর বা মালগাড়ির লাইন তৈরির বরাত পেয়েছিল চায়না রেলওয়ে সিগন্যাল অ্যান্ড কমিউনিকেশন কর্পোরেশন। ২০১৬ সালের ৪৭১ কোটি টাকার বরাত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত চার বছরে মাত্র ২০ শতাংশ কাজ হয়েছে। কাজের শ্লথগতির জন্য এই বরাত বাতিল করা হল বলে রেলের তরফে জানানো হয়। তবে এর পিছনে সীমান্তে ভারত-চীনের উত্তেজনাও বেশকিছুটা দায়ী বলে মনে করেন ওয়াকিবহাল মহল।
এরপরই এই বরাত বাতিলের কথা ঘোষণা করে ভারতীয় রেল। শুক্রবার তার চিঠি সংস্থাটিকে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ওই ফ্রেট করিডরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনুরাগ সাচান জানান, ‘আমরা বরাত বাতিলের চিঠি দিয়ে দিয়েছি। কোনও ভারতীয় সংস্থা এই কাজের দায়িত্ব পাবে। নতুন করে টেন্ডার ডাকব আমরা।’ এদিকে ওই চীনা সংস্থা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, যাতে কোনওভাবে ব্যাঙ্কের টাকা না পান। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি রয়েছে।