রাজস্থানে যখন রাজনৈতিক চাপাউতোর তুঙ্গে, তখন শুক্রবার রাতে নয়াদিল্লীতে বৈঠক করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়, তাহলে কি এবার মহারাষ্ট্রে ‘অপারেশন লোটাস’ হতে চলেছে?
যদিও শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন ফডনবিশ। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, কোনও অপারেশন লোটাস মহারাষ্ট্রে হচ্ছে না। বরং তিনি দাবি করেছেন, মহাবিকাশ আগাধির (শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি জোট) ভিতরকার কোন্দলেই একদিন মহারাষ্ট্রের সরকার ভেঙে যাবে।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর এই বৈঠক ছিল একেবারেই অরাজনৈতিক। মহারাষ্ট্রের চিনি শিল্পের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থ সাহায্য চাইতেই তিনি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন। এর সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ নেই। ফডনবিশ আরও বলেন, ‘অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। আমি তাঁকে মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতির কথা জানিয়েছি। আমরা সরকার ফেলতে আগ্রহী নই। এখন আমাদের লড়াই করতে হবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে।’ অমিত শাহের সঙ্গে এই বৈঠকে ফডনবিশ ছাড়াও হর্ষবর্ধন পাতিল, ধনঞ্জয় মহাদিক, জয় কুমার গোরে, রঞ্জিত নিম্বালকরদের মতো মহারাষ্ট্র বিজেপির প্রথম সারির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
মহারাষ্ট্র সরকার গঠন নিয়ে কম নাটক হয়নি। কাক ভোরে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফড়নবিশ ও উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এনসিপি নেতা তথা শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ারের শপথ নেওয়ার ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল জাতীয় রাজনীতিতে। তারপর উদ্ধব, শরদ পাওয়ার এবং কংগ্রেস গাঁটছড়া বেঁধে, সমস্ত বিধায়কদের এক জায়গায় করে নতুন সরকার গড়ার জন্য সংখ্যা জোগাড় করতে মাঠে নেমে পড়েন। শেষপর্যন্ত ইস্তফা দিতে হয় ফডনবিশকে।