করোনার জেরে লকডাউন ৩০ বছরের ‘সুখী’ দাম্পত্য জীবনে ভাঙনও ধরাল। এই লকডাউনে মানুষ হতাশায় আত্মহত্যা করছেন, মানসিক অবসাদে দিন কাটাচ্ছেন। এমন খবর কানে আসছিল। এবার সংসার ভাঙার মতো পরিণতিও আনল এই লকডাউন। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন, স্ত্রীর কথা মেনে থাকতেন ঘরজামাইও, কিন্তু অটো চালানো বন্ধ, আয় নেই, তাই ঘর থেকে স্বামীকে বার করে দিল স্ত্রী।
চন্দননগরের বেনেপুকুরের বাসিন্দা শেখ মহম্মদ হাসিমের কাছে বদলে গেল ভালোবাসা, সুখী দাম্পত্যের সংজ্ঞা। ফটকগোড়ার বাসিন্দা গোপা চক্রবর্তী বিয়ে করেছিলেন তিনি। বিয়ের পর থেকে ঘরজামাই থাকতেন। স্ত্রী, মেয়ে, শ্বশুর, শাশুড়িকে নিয়ে সংসার। চন্দননগর স্টেশন রোডে অটো চালাতেন তিনি। কিন্তু লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় রোজগার। সংসার চালানোর টাকা দিতে না পারায় বাড়ি থেকে বার করে দিল স্ত্রী-মেয়ে।
এই সময়ে এমন রূঢ় মানসিকতা কিভাবে হল ভাবছেন অনেকেই। ঘর থেকে বার করে দেওয়ার পর কিছুদিন রাস্তাতেই কাটান তিনি। পরে স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন, খাবার-জামাকাপড় দেন।
শেখ হাসিমের কথায়, “এতদিন টাকা দিতে পারতাম, সুখ ছিল সংসারে, টাকা নেই, তাই ঘরবাড়িও নেই।”