নোট বাতিল পরবর্তী সময়ে দেশে আর্থিক মন্দার কারণ মোদী সরকার নয়। এর জন্য দায়ী রিজার্ভ ব্যঙ্কের প্রাক্তণ গভর্ণর রঘুরাম রাজন। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন নীতি আয়োগের উপ সভাপতি রাজীব কুমার। এক সাক্ষাৎকারে কার্যত এভাবেই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তিনি। রাজীবের দাবি, নোট বাতিল নয়, দেশের অর্থনীতির ওপর আঘাত হেনেছিল রাজনের ভুল নীতি।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজীব কুমার দাবি করেন, ‘২০১৫–১৬ সালে অভ্যন্তর উৎপাদন বৃদ্ধির হার ছিল ৯.২ শতাংশ। তারপর রাজন ব্যাঙ্কগুলির অনুৎপাদক সম্পদের (এনপিএ) পরিমাপ করার জন্য নতুন পদ্ধতি চালু করেন। এনপিএ–র পরিমাণ প্রতি বছর ১০০ শতাংশ করে বেড়ে যেতে থাকে। ফলে ব্যাঙ্কগুলি ঋণ দেওয়ার ওপর রাশ টেনে ধরে। সরকার চেষ্টা করলেও ঋণের সুবিধা কমে যাওয়ায় বিনিয়োগের পরিমাণ কমতে থাকে এবং দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ে’।
অর্থনৈতিক মন্দার জন্য মোদীর কিছু করার নেই বলে মনে করেন রাজীব কুমার। তাঁর মতে, ‘নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের আগে থেকেই দেশের অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিয়েছিল। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে পরপর ছয়টি ত্রৈমাসিক উর্ধগতির পরে শেষ ত্রৈমাসিকে মন্দা দেখা দেয়। ফলে নোট বাতিলের পরবর্তী পর্যায়ের মন্দার জন্য নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে দায়ী করা যায় না’।
নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সমর্থন করেছেন রাজীব কুমার। এই সিদ্ধান্তের দৌলতে শেষ পর্যন্ত দেড় লক্ষ কোটি কালো টাকা ধরা পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। নোট বাতিলের ফলেই এখন আয়কর রিটার্নের পরিমাণ বিপুলভাবে বাড়ছে বলেও তাঁর দাবি।