কপিলমুনির দর্শন করতে গেলে পেরোতে হয় বুড়িগঙ্গা নদী। ফেরি বন্ধ থাকায় সেই সুযোগ মিলছিল না। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলায় আরও অনেককিছুর মতো বন্ধ ছিল এই ভেসেল পরিষেবাও। লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ থাকায় রীতিমতো মুশকিলে পড়েছিলেন কচুবেড়িয়ার মানুষজন। হাজার দরকারেও নদী পার হয়ে আসতে পারছিলেন না কলকাতায়। তারপর উম্পুনের দাপটে পেরিয়ে সব মেরামত হয়ে ফের চালু হল এই রুটের লঞ্চ পরিষেবা।
করোনা আতঙ্কে ট্রেন চলাচল এখনও বন্ধ। যাত্রীদের সুবিধার জন্য যেখানে যেখানে সম্ভব ফেরি সার্ভিস চালু করছে পরিবহণ দফতর। এর আগে হুগলির শ্রীরামপুর, চন্দননগর থেকে কলকাতার ফেয়ারলি পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে। এ বার চালু হল স্তব্ধ হয়ে যাওয়া কচুবেড়িয়ার ফেরি সার্ভিস।
এত দিন বন্ধ থাকার পর ফের পরিষেবা শুরু হওয়ায় সাগর থেকে কলকাতাগামী যাত্রীদের অনেক সুবিধা হবে। জীবিকার জন্য, চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসার জন্য এই পরিষেবাই একমাত্র ভরসা। তাই খুশি যাত্রীরা। নাইট কার্ফু জারি থাকায় রাতে কোনও ভেসেল চলাচল করবে না বলে জানালেন ভেসেলের অফিসার ইনচার্জ অর্পণ দাস।
গতকাল বিকেলে সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরার উপস্থিতিতে প্রশাসনিক কর্তারা এই জেটির উদ্বোধন করেন। আজ শনিবার সকাল থেকে লঞ্চ চালু হওয়ায় হাঁফ ছাড়লেন এলাকার মানুষ। তবে সুরক্ষাবিধি মেনেই যাত্রীদের পারপার করানো হবে। মাস্ক পরাও বাধ্যতামুলক করা হয়েছে সমস্ত যাত্রীর। টিকেট কাউন্টারে দাঁড়াতে হবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। ঠিক হয়েছে আপাতত ৬০ শতাংশ যাত্রী তোলা হবে। লঞ্চে তোলার আগে স্যানিটাইজ করা হবে সমস্ত যাত্রীকে।