লাদাখ ইস্যুতে ক্রমেই অবনতি হচ্ছে ইন্দো-চীন সম্পর্কের। সোমবার রাতেই কেন্দ্র ৫৯টি চীনা অ্যাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই খবর পেয়েই উদ্বেগ বাড়তে থাকে চীনের বিদেশমন্ত্রকের। তারা এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছে।
গত ১৫ জুন ভারত-চীন সীমান্তে সংঘর্ষের পর থেকেই দেশে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক ওঠে দেশজুড়ে। চীনের প্রতি কেন্দ্র কোনও কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলেও বারবার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী শিবির। চাপের মুখে পড়ে ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় যে, এই মোবাইল অ্যাপের অপব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস গ্রাহকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই কারণেই সবদিক বিবেচনা করে মন্ত্রকের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ওই অ্যাপগুলি দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, দেশের সুরক্ষার জন্য ক্ষতিকারক। তাই তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৯-এ ধারায় অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। ফলে চীনকে কোণঠাসা করতে সোমবার রাতে ৫৯টি চিনা অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ করে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরই নড়েচড়ে বসে চীনা প্রশাসন। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর চিন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং পরিস্থিতি যাচাই করে দেখা হচ্ছে।’
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহীদ হন। ৭০-এরও বেশি জওয়ান আহত হন। তারপর থেকে দেশজুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরেই চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধকরণের এই সিদ্ধান্ত নিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাধ্যতার সুরে কেন্দ্রের কাছে মাথা নোয়ান টিকটক ইন্ডিয়ার প্রধান। প্রয়োজনে কেন্দ্রকে সমস্ত তথ্য দিয়ে সাহায্য করা হবে বলেও সাফাই দেন টিকটক ইন্ডিয়ার প্রধান নিখিল গান্ধী।