লকডাউনে স্তব্ধ গোটা দেশ। আনলকে খুলেছে সরকারি, বেসরকারি অফিস, ধর্মীয় স্থান। তবে এখনও খোলেনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। কবে খুলবে স্কুল, কলেজ সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি এখনও। তবে তারই মাঝে সিলেবাসে কিছু বদল আনার কথা ভাবছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের স্কুলপাঠ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে করোনা ভাইরাস।
প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সিলেবাসে রাখা হবে করোনা সংক্রমণ, সতর্কতা ও প্রতিকারের কথা। এই মারণ ভাইরাস ঠিক কী? কীভাবে তা ছড়াতে পারে? সংক্রমণ এড়ানোর সম্ভাব্য উপায় এবং নানা ধরনের করোনা সতর্কতা অন্তর্ভুক্ত করা হবে সিলেবাসে।
স্কুল শিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটিকে এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওই কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক অভীক মজুমদার জানিয়েছেন, “ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমেই গণসচেতনতা গড়ে ওঠে। বাচ্চারাই অভিভাবকদের সাবধান করতে পারে। করোনা সতর্কতা সিলেবাসে রাখা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। প্রত্যেক ক্লাসের পাঠ্যবইতে এটি থাকা দরকার। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর হবে।”
সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরের পাঠক্রমে বিষয়টি রেখেছে কর্তৃপক্ষ। লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ও একই রাস্তায় হাঁটছে। তবে স্কুলস্তরে এখনও অন্য কোনও রাজ্য করোনাকে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে কিছু ভাবেনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং বাস্তবোচিত বলে মনে করছে শিক্ষামহল।