দেশ জুড়ে দীর্ঘ ৮৩ দিনের লকডাউনের জেরে বিপর্যস্ত অর্থনীতি। তবে সেই ধাক্কা সামলে যখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে জনজীবন, রাস্তায় নামছেন মানুষ, ঠিক তখনই ফের দৈনিক ভিত্তিতে জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ শুরু করে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলি। যার ফলে গোটা জুন ধরেই ধাপে বেড়েছে জ্বালানির দাম। আমজনতার জীবন কার্যত অতিষ্ঠ করে তুলেছে এই একটানা জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি।
এই অবস্থায় বিরোধীদের আক্রমণের মুখে তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের যুক্তি, জ্বালানিতে শুল্ক বসিয়ে যে আয় হয়েছে, তা স্বাস্থ্য পরিষেবায়, লকডাউনের সময় গরিব মানুষকে অর্থ সাহায্য করতে খরচ হয়েছে। যা শুনে অবাক গোটা দেশ। অনেকেরই প্রশ্ন, এ মাছের তেলে মাছ ভাজা নয় কি? দেশবাসীর পকেট থেকে টাকা নিয়ে তাঁদেরই দেওয়া! সরকার কী করল?
প্রধানের কথায়, ‘দায়িত্ব নিয়ে বলছি, স্বাস্থ্য পরিষেবায়, উন্নয়নে যখন অর্থের দরকার পড়ে, তখন কেন্দ্র শুল্ক বাড়ায়। জিএসটি থেকে আয় কমেছে। ব্যবসা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। কেন্দ্র জ্বালানিতে শুল্ক বাড়িয়ে আয়ের ভাগ রাজ্যকে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনা তৈরি হয়েছে। গরিবের রেশন, কৃষকের অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। তিন মাস নিখরচায় গ্যাস দেওয়া হয়েছে।’ তাঁর দাবি, তেল বিক্রি কমায় রাজ্য ও কেন্দ্রের রাজস্ব আয়ে ধাক্কা লেগেছিল।