লাদাখের পরিস্থিতি, সেখানে চিনা সেনারা কতটা জমি দখল করে নিয়েছে, কখন, কী ভাবে হটবে তারা, তা নিয়ে প্রকৃত তথ্য জানানোর দাবি ফের জানাল কংগ্রেস।
এক ভিডিও-বার্তায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর প্রশ্ন, কখন এবং কী ভাবে চীনের সেনাকে হটিয়ে লাদাখের ভারতীয় ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবে নরেন্দ্র মোদী সরকার? সোনিয়া বলেন, ‘ভারত-চীন সীমান্তে সমস্যা চলছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার তার দায়িত্ব এড়াতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, আমাদের ভূখণ্ডে কেউ ঢোকেনি। অন্যদিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী বিপুল সংখ্যায় চীনা সেনার উপস্থিতির কথা বলছেন। চীনের আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা করছেন। আমাদের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা লঙ্ঘন করে চীন গালওয়ান ও প্যাগং এলাকায় ঢুকে বাঙ্কার বানাচ্ছে, ছাউনি তৈরি করছে। দেশ জানতে চায়, মোদী সরকার কখন এবং কী ভাবে সেই ভূখণ্ড ফেরত আনবে।’
কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী পল্লম রাজুর অভিযোগ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অন্তত ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত অনুপ্রবেশ করে ফেলেছে চীনা সেনা। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে বেজিং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা গায়ের জোরে পাল্টানোর যে চেষ্টা বরাবর করেছিল, তা কার্যত মেনে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এমনকি যে পিপি-১৪ ঘিরে ২০ জন জওয়ানের প্রাণ গেল, সেখানেও চীনা সেনা ফের অনুপ্রবেশ করেছে। সরকার কী পদক্ষেপ করছে, তা জানানোর দাবি তুলেছে কংগ্রেস। রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন ভারতীয় ভূখণ্ডে কেউ অনুপ্রবেশ করেনি। কিন্তু চীনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অন্য কথা বলছেন। তাহলে কে দেশকে ভুল পথে চালনা করছেন? কংগ্রেস বরাবর অভিযোগ করে আসছে, তথ্য গোপন করে আসছে মোদী সরকার। প্রকৃত তথ্য দেশবাসীকে জানাতে প্রয়োজনে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে হলেও সংসদের অধিবেশন ডাকার প্রস্তাবও দিয়েছে তারা।
বিরোধীদের ধাঁচেই সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রাক্তন মেজর জেনারেল জি ডি বক্সীও। তিনি টুইট করে বলেন, সব কিছু ঠিক নেই পশ্চিম ফ্রন্টে। চীনা সেনা প্রথম লাদাখে ঝামেলা পাকাতে ষষ্ঠ ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনকে নিয়ে এসেছিল। এ বার তারা চতুর্থ ডিভিশনকে মোতায়েন করেছে ডিবিও ও দেপসাং-এর বিপরীতে। এস-৪০০ (মিসাইল সিস্টেম) ও বসিয়েছে চীন। তাই সাবধান হওয়ার সময় এসেছে।