নির্ধারিত সময়ের পরেও দোকান খুলে রেখেছিলেন। এই ছিল তাঁদের অপরাধ। আর তার শাস্তি হিসেবেই পুলিশের মারে প্রাণ খুইয়ে ফেলতে হল তামিলনাড়ুর এক ব্যবসায়ী ও তাঁর ছেলেকে। পুলিশি হেফাজতে বাবা-ছেলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। বিরোধী দল ডিএমকে-র অভিযোগ, শাসক এডিএমকে পুলিশকে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার অধিকার দিয়েছে। তাই পুলিশ পিটিয়ে মেরেছে ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর ছেলেকে।
প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন জেলায় মোবাইলের দোকান চালাতেন পি জয়রাজ ও তাঁর ছেলে পেন্নাস। তামিলনাড়ুতে লকডাউনের মধ্যে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়েই দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, জয়রাজ ও তাঁর ছেলে নির্ধারিত সময়ের পরেও দোকান খুলে রেখেছিলেন। গত শুক্রবার পুলিশ তাঁদের ধরে নিয়ে যায়। চারদিন বাদে হাসপাতালে বাবা, ছেলের মৃত্যু হয়। তাঁদের আত্মীয়রা অভিযোগ করেছেন, সান্তনকুলম থানায় পুলিশ বাবা, ছেলেকে প্রচণ্ড মারধর করেছিল। তাই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। আত্মীয়রা দু’জনের দেহে আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন।
বাবা-ছেলের মৃত্যুর পর তুতিকোরিনে বহু ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ই কে পালানিস্বামী দু’জনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন। যদিও পুলিশের অত্যাচার নিয়ে তিনি মুখ খোলেননি। মৃতদের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। তবে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা এম কে স্ট্যালিন দাবি করেছেন, যারা এই বর্বরতার জন্য দায়ী, তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি অভিযোগ জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও মৃতদের জন্য শোক জানিয়েছেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই সাব ইনসপেক্টর-সহ চার পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।