ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট৷ গ্রামীণ ভারতে প্রতি ৩ জন ডাক্তারের মধ্যে ২ জনের ডাক্তারির শিক্ষাই নেই৷ তাঁদের আধুনিক মেডিসিন সম্পর্কে কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতাই নেই৷ এই প্রথম দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে ব্যাপক মূল্যায়নে উঠে এল এই তথ্য৷ এই মূল্যায়নে মূলত ডাক্তারি শিক্ষাকেই মাপকাঠি ধরা হয়েছিল৷
ভারতের ৭৫ শতাংশ গ্রামে অন্তত একটি স্বাস্থ্য পরিষেবা ও একটি গ্রামে গড়ে তিনটি করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে৷ এর মধ্যে ৮৬ শতাংশ বেসরকারি চিকিত্সক ও ৬৮ শতাংশের কোনও মেডিক্যাল ট্রেনিংই নেই৷ তাঁরা চিকিত্সা করে চলেছেন দিনের পর দিন৷ সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের ১৯টি রাজ্যে ১ হাজার ৫১৯টি গ্রামে সার্ভেতে পাওয়া গিয়েছে এই তথ্য৷ গোটা সমীক্ষাটি সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে৷
২০১৬ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র ২০১৬ সালের রিপোর্টের সঙ্গে মিলছে সেন্টার পলিসি রিসার্চের সার্ভে৷ হু-এর রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ৫৭.৩ শতাংশ মানুষ ভারতে অ্যালোপ্যাথি চিকিত্সা করেন, যাঁদের মেডিক্যাল শিক্ষাই নেই৷ ৩১.৪ শতাংশ আবার দশম বা দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করেই ডাক্তারি করে যাচ্ছে৷
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, এমন ডাক্তারের ডাক্তারির জ্ঞানের নিরিখে আবার এগিয়ে তামিলনাড়ু ও কর্নাটক৷ সবচেয়ে খারাপ অবস্থা উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের৷ এই সার্ভের প্রধান ও অধ্যাপক জিষ্ণু দাসের কথায়, ‘গ্রামীণ ভারতের একটা বিরাট অংশই হাতুড়ে ডাক্তারদের উপর নির্ভশীল৷ কারণ তাঁদের কাছে অন্য উপায় নেই৷ এমবিবিএস ডাক্তারের সংখ্যা অতি অল্প৷ বেশির ভাগ গ্রাম থেকেই অনেক দূরে৷’