গোটা বিশ্ব করোনা ওষুধের সন্ধানে দিশেহারা হয়ে উঠলেও, ওষুধ মিলেছে এমন কোন তথ্য স্বীকার করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেখানেই গত মঙ্গলবার রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে করোনা ওষুধ বাজারে এনেছেন যোগগুরু বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। যদিও এই ওষুধ বাজারে আনার জন্য কেন্দ্রীয় আয়ুস মন্ত্রকের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি এই সংস্থা। এর ঠিক পরই পতঞ্জলিকে নোটিশ পাঠিয়েছে সরকার। সে প্রসঙ্গেই এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয় আয়ুস মন্ত্রকের মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক জানালেন, ‘এটা অত্যন্ত ভালো বিষয় যে যোগগুরু দেশকে একটি নতুন ওষুধ দিয়েছেন, কিন্তু আয়ুষ মন্ত্রকের অনুমতিরও প্রয়োজন যে রয়েছে।
কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের তরফে নোটিশ পাঠিয়ে পতঞ্জলির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে এই ওষুধের কম্পোজিশন সম্পর্কে। পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয়েছে এই ওষুধের গবেষণার ফলাফল, কোন হাসপাতালে গবেষণা চালানো হয়? এই গবেষণা চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটির কোনও ছাড়পত্র ছিল কি না? পতঞ্জলি তরফেই ওষুধ প্রকাশ অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘যে দাবি করা হচ্ছে তার কোনও তথ্য ও বৈজ্ঞানিক অধ্যায়ন কেন্দ্রের কাছে নেই।’ পাশাপাশি হরিদ্বারে পতঞ্জলির কারখানায় তৈরি হওয়া এই ওষুধের লাইসেন্স, এবং অনুমতি পত্রের কপি চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক স্পষ্ট জানান, ‘এটা অত্যন্ত ভালো খবর যে বাবা রামদেব দেশবাসীকে নতুন শুধু উপহার দিচ্ছেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ লঞ্চ করার আগে ওনাকে তো আয়ুস মন্ত্রকে আসতে হবে।’ মন্ত্রী আরও জানান, ‘উনি একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছেন আমরা সেটা বিচার বিবেচনা করছি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অনুমতি দেওয়া হবে।’ মন্ত্রীর কথায়, ‘যদি কেউ ওষুধ বানাতে চান তবে সে অবশ্যই ওষুধ বানাতে পারে। কিন্তু তাকে আয়ুস মন্ত্রকের টাস্কফোর্সের নিয়মাবলী মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। আয়ুস মন্ত্রক অনুমতি দিলে তবেই সে ওষুধ বাজারে আসার ছাড়পত্র পাবে অন্যথায় নয়।’ প্রসঙ্গত, রামদেব বাবার পতঞ্জলির তরফের কোরোনীল নামে ওই ওষুধ বাজারে আনার পর ইতিমধ্যেই তাকে নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্র।