জরুরি ভিত্তিতে করোনা সংক্রমণ রুখতে আগামী ৬ জুলাইয়ের মধ্যে দিল্লীর সবক’টি বা়ড়িতে বাধ্যতামূলক ভাবে রক্তপরীক্ষা করা হবে। আর শহরের মোট ২৬১টি কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলক রক্তপরীক্ষার কাজ ৩০ জুনের মধ্যেই শেষ করা হবে। ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)’-এর নির্দেশিকা মেনে। সংক্রমণের হারে রাশ টানতে এটাই দিল্লী সরকারের নতুন পরিকল্পনা।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সরকারের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে এই সপ্তাহে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীর তিন দফার বৈঠকেই সংক্রমণ রুখতে এই নতুন পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। প্রতি দিনই দিল্লীতে আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষের আক্রান্ত হওয়া ও ৭৫ জন করে মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে সরকারি বিবৃতিতে।
ওই বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, ‘রাজ্যের কনটেনমেন্ট এলাকাগুলিতে করোনা আক্রান্তের ঘটনার প্রায় ৪৫ শতাংশই ক্ষেত্রেই গোষ্ঠী সংক্রমণের প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে।’ জানানো হয়েছে, গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে দিল্লির লাগোয়া যে এলাকাগুলি ‘সিল’ করা হয়েছে, সেগুলিতে আরও কড়া নজরদারির ব্যবস্থা ও রক্তপরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে।
এ ছাড়াও, অত্যন্ত জনবহুল এলাকাগুলিতে আক্রান্তদের দ্রুত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে উপসর্গ থাকা ও উপসর্গহীন প্রতিটি রোগীর রক্তপরীক্ষা করা হবে ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে। আর স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়মিত পরীক্ষা করা হবে দু’টি হোটেলে। ‘জিঞ্জার হোটেল’ আর ‘টিউলিপ হোটেলে’। আর সেরোলজিক্যাল সার্ভের জন্য দিল্লিতে মোট ২০ হাজার মানুষের নমুনা রক্তপরীক্ষা করা হবে। তা আগামী শনিবার থেকে শুরু হবে। যার ফলাফল প্রকাশিত হবে ১০ জুলাই।
রাজ্যের জেলাগুলিতে নজরদারি কঠোরতর করারও পদক্ষেপ হয়েছে দিল্লি সরকারের মতুন পরিকল্পনায়। জেলাগুলিতে নজরদারির জন্য গড়া টাস্ক ফোর্সের তদারকির দায়িত্ব ছিল এত দিন জেলাশাসকের হাতে। এ বার সেই টাস্ক ফোর্সে জেলার পুলিশ কমিশনার, পুর অফিসার, এপিডিমিওলজিস্টদেরও রাখা হচ্ছে। টাস্ক ফোর্সের শীর্ষে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী।
