অনেক টানাপোড়েনের পর শর্তসাপেক্ষে পুরীর রথযাত্রার অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ মঙ্গলবার সকালে এই নির্দেশ মেনে ২৫০০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ভক্ত ছাড়াই পথে নামল জগন্নাথদেবের রথ। জনসমাগম রুখতে সোমবার রাত থেকেই কারফিউ জারি করা হয়েছে পুরী শহরে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট শর্তসাপেক্ষে রথযাত্রার নির্দেশ দিতেই শুরু হয়েছিল শেষলগ্নের প্রস্তুতির কাজ। এরপর মঙ্গলবার সকাল হতেই দেখা যায় রথের দড়ি টানতে আদালতের নির্দেশ মেনে ৫০০ জনের কম মানুষ জড়ো হয়েছেন মন্দির চত্বরে। যার মধ্যে কোনও সাধারণ মানুষ নেই। কেউ সেবায়েত বা পুরোহিত তো কেউ মন্দিরের কর্মী। প্রথমে মন্দির স্যানিটাইজ করা হয়। তারপর শুরু হয় রথের সাজানোর কাজ।
সাজানোর কাজ শেষ হতেই মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে প্রথমে বের করে নিয়ে আসা হয় ভগবান বলরাম বা বলভদ্রদেবের মূর্তি। একদিকে খোল-করতাল বাজিয়ে চলছিল ভগবানের নামগান। অন্যদিকে পুরোহিত ও সেবায়েতরা কাঁধে করে একে একে বলরাম, সুভদ্র ও জগন্নাথদেবকে রথ ওঠান। তারপর মঙ্গলমন্ত্র উচ্চারণ করে রথের দড়ি ধরে টান দেন। মাসির বাড়ি চললেন জগন্নাথ তবে ভক্তের ভিড় ছাড়াই।