করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে, এই আশঙ্কায় চলতি বছরে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। এবার পুরীর রথযাত্রা করার শেষ চেষ্টায় একজোট হল কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারও। করোনার থাবাকে অগ্রাহ্য করে শুধুমাত্র সংস্কারকে হাতিয়ার করে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এই দুই সরকার। সরকারের এই যুক্তি শুনতে রাজি হয়েছে শীর্ষ আদালতও।
সোমবার সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা শীর্ষ আদালতে জানান, করোনার জন্য রথযাত্রায় জমায়েতে না করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। তা নিয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু কড়া নিয়মের মধ্যে রথ টানার অনুমতি দেওয়া হোক। তা না হলে সংস্কার অনুযায়ী ১২ বছর আর মন্দির থেকে বেরোতে পারবেন না প্রভু জগন্নাথ। তাঁর কথায়, কেন্দ্র ও রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের এই রায় সম্মান করে। কিন্তু সংস্কারের জন্য অত্যন্ত হাতেগোনা কয়েকজন সেবাইতদের উপস্থিতিতে এই রথ টানার ছাড়পত্র দেওয়া হোক। তাহলে ধর্ম কিংবা সংস্কার যেমন রক্ষিত হবে, তেমনি করোনা সংক্রান্ত সাবধানতাও রক্ষা করা যাবে। তাই সবদিক দেখে এই ধরনের রথযাত্রায় ছাড়পত্র দিক শীর্ষ আদালত।
এদিকে, করোনা সংক্রমণের যুক্তিতে পুরীর রথযাত্রা আটকে দেওয়া ‘সুপরিকল্পিত’, বলে অভিযোগ তুলেছেন পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতীও। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, করোনার কারণে এবছর রথযাত্রা স্থগিত রাখা হোক। প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে জানান, আমরা যদি এই সিদ্ধান্ত না নিই তাহলে প্রভু জগন্নাথও আমায় ক্ষমা করবেন না। মূলত, দেশে করোনার আবহে সংক্রমণকে বাঁধ দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু পুরীর শঙ্করাচার্য রবিবার বলেন, ‘রথযাত্রা বাতিলের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। জগন্নাথ দেবদের রথে চড়ার অনুমতি অন্তত দিতে পারত সুপ্রিম কোর্ট। তবে, ভক্তদের জমায়েত বন্ধ করা প্রয়োজন। সীমিত ভক্ত ও পুলিশ নিয়ে এই উৎসব করা যেত। উৎসবের লাইভ টেলিকাস্টও করা যেতে পারত।’