লাদাখে ভারত-চীন সংঘর্ষের জেরে চীনা পণ্য বয়কট করার ডাক উঠেছে গোটা দেশে। অনেকেই ডাক দিয়েছেন চীনা অ্যাপ ডিলিট করার। অনেকে আবার বলেছেন চীনা ফোন ব্যবহার না করার কথা। এই সময়ে একটি রিসার্চ ফার্মের সমীক্ষা বলছে, ১০ জন ভারতীয়ের মধ্যে মাত্র চার জন চীনা স্মার্টফোন না কিনতে রাজি হয়েছেন। অর্থাৎ ৬০ শতাংশ মানুষ চীনা ফোন কেনারই পক্ষে।
মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ের মাঝে এই সমীক্ষা চলে। অর্থাৎ গালওয়ান কাণ্ডের আগে পর্যন্ত জানা হয় মানুষ কী চাইছেন। ১৯ জুন এই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। সেখানে জানা গেছে, এ বিষয়ে কথা বলা মাত্র জোর দিয়ে চীনা ফোন না কেনার কথা জানান প্রতি দশ জনের মধ্যে মাত্র চার জন। অনেকেই নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেননি যে তাঁরা চিনা ফোন আর কখনও কিনবেন না।
গত সোমবার লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সীমান্তে শহীদ হন ২০ জন ভারতীয় সেনা। চীনের সঙ্গে সমস্যা অবশ্য চলছিল আরও অনেক আগে থেকেই। সারা দেশেই ডাক ওঠে চীনা পণ্য বয়কট করার। কিন্তু সেনামৃত্যুর ঘটনায় এই ডাক আরও জোরালো হয়। তবে এই সমীক্ষা তার আগেই শেষ হয়েছে। আধিকারিকরা বলছেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম সীমান্তের টানাপড়েন, একটানা সংঘাত চীনের প্রতি ভারতের রাগ ও ক্ষোভ বাড়িয়ে দিয়েছে, এর প্রভাব পড়বে চীনা ফোনের গ্রাহকদের মনেও। কিন্তু সেই বিরোধিতা বাস্তবে দেখা গেল না।’
তবে সাধারণ মানুষের স্মার্টফোন কেনার বিষয়টি আরও অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে বলেই জানিয়েছে রিপোর্ট। সকলেরই নিজস্ব বাজেট থাকে। কম টাকায় সেরা জিনিসটি সকলে চান। সেই দিক থেকে এগিয়ে চীনা ফোনগুলি। ফলে চীনা সংস্থা নির্মিত ফোনগুলির প্রতি চীনবিরোধী মনোভাবের ছাপ খানিকটা পড়লেও, বাজার বদলে ফেলা এত সহজ হবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়কট চায়না হ্যাশট্যাগ যত দ্রুত ভাইরাল হয়েছে, মানুষের প্রয়োজনমতো বিকল্প খুঁজে পাওয়া এবং চীনা মোবাইল সম্পূর্ণ বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেও তত দ্রুত হবে না।