একই দিনে ৭ টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর সাক্ষী এই কলকাতা শহর। আত্মহননের পথ বেছে নেওয়ার তালিকায় যেমন প্রৌঢ় রয়েছেন, তেমনি রয়েছে বছর দশেকের পড়ুয়াও! প্রত্যেকেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু কেন এই আত্মহননের পথ অবলম্বন! কেন বারবার এই আত্মহত্যার ঘটনা উঠে আসছে খবরের শিরোনামে তা নিয়ে অনেকের কপালেই কিন্তু চিন্তার ভাঁজ।
দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া স্টেশন রোডের ঘটনা। কাপড় শুকোতে দেওয়ার নাম করে ছাদে উঠেছিল দশ বছরের ছেলেটি। কিছুক্ষণ পরই গলায় রবারের পাইপ দিয়ে ঝুলতে দেখা গেল তাকে। এদিকে, বুধবার এক কলেজ ছাত্র-সহ শহরে আরও পাঁচ জনের আত্মঘাতী হওয়ার খবর মিলেছে এই শহরেই।
পুলিশ জানিয়েছে, দশ বছরের ওই বালক লেক এলাকার এটি চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দা। মা কয়েকটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। বাবার কোনও স্থায়ী রোজগার নেই। বাড়ির কাছেরই একটি স্কুলে পড়ত এই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। অন্যদিকে রিজেন্ট পার্কের মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সরণিতে আত্মঘাতী হন রোহিত গুপ্তা (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্র। জানা গিয়েছে, তার মা-বাবা এখানে থাকতেন না। পড়াশোনা করতেন না বলে অভিভাবকরা তাঁকে বকাবকি করতেন। সিলিং থেকে গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সে।
হতাশায় ভুগছিলেন নরেশ সাহা (৫৫) নামে এক ব্যক্তি। এদিন পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। আবার বেহালার ক্যানাল রোডের বাসিন্দা নতুল মণ্ডল (৭০)। তিনিও সিলিংয়ের সঙ্গে গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বেলেঘাটার কালীতলা বোস লেনে বাসিন্দা ইন্দ্রনীল কর্মকার (৩০) নামে এক যুবকও বুধবার গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।