ফের প্রকাশ্যে এল পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয়দের ওপর অত্যাচারের ঘটনা। জানা গেছে, গতকাল বিমানবন্দর যাওয়ার পথে ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনের ২ কর্মীকে আটক করে আইএসআই। দিনভর টানপোড়েনের পর অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আর তারপরেই প্রকাশ্যে আসে, তাঁদের ওপরে কী ধরনের অত্যাচার করেছে আইএসআই। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই ২ কর্মীর বিরুদ্ধে হিট অ্যান্ড রান কেস দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় আইএসআই হেফাজতে তাদের ওপরে অকথ্য অত্যাচার করা হয়। এমনকি রড দিয়ে মারধর করা হয়। নোংরা জল খেতে দেওয়া হয়। মারধর করে দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করতে বাধ্য করা হয় ওই দুই কর্মীকে।
সূত্রের খবর, সোমবার সকাল আটটা নাগাদ তাঁরা ইসলামাবাদ বিমানবন্দর যাচ্ছিলেন হাইকমিশনের ২ কর্মীকে আনতে। হাই কমিশনের কাছেই একটি পেট্রোল পাম্পে তাঁদের আটক করে আইএসআই। দুজনেরই চোখ বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ৫টি গাড়িতে ১৫-১৬ পুলিশকর্মী এসে, তাঁদের একটি অজানা জায়গায় তুলে নিয়ে যায়। ওই দুই কর্মীর নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়াতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় সাউথ ব্লকে। শুরু হয় তৎপরতা। ডেকে পাঠানো হয় দিল্লীতে নিযুক্ত পাকিস্তানের চার্জ ডিঅ্যাফেয়ার্স সৈয়দ হায়দার শাহকে। ওই আটকের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ করা হয়। সোজা জানিয়ে দেওয়া হয়, আটক ২ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ বা হেনস্থা করা যাবে না। তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পাকিস্তানকেই নিতে হবে।
তারপরেই জানা যায় আইএসআইয়ের হেফাজতেই রয়েছেন ভারতীয় হাই কমিশনের ওই দুই কর্মী। সূত্রের খবর, ওই দুজনকে মারধর করে অ্যাক্সিডেন্ট করার স্বীকারোক্তি করিয়ে নেওয়া হয়। পাশাপাশি এও বলিয়ে নেওয়া হয়, বাইরে থেকে গাড়িতে লোক এনে হাই কমিশনে তাঁরা মিটিং করার ব্যবস্থা করছিলেন। সেইসব স্বীকারোক্তির ভিডিও করা হয়। সকাল থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত তাঁদের জেরা করে আইএসআই। এইসময়ে তাঁদেরকে লোহা ও কাঠের রড দিয়ে মারধর করা হয়।