লকডাউনের মাঝেও বাঁকুড়ায় ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে শাসকদল। একের পর এক বাম-বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা হাতে তুলে নিচ্ছেন তৃণমূলের ঝান্ডা। এদিনও বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে বহু কর্মী-সমর্থক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আর এই দলবদলের হিড়িকেই হারানো জমি পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন দেখছে শাসকদল।
বাঁকুড়া জেলার ওন্দা বিধানসভার অন্তর্গত কল্যাণী অঞ্চলের লেদাসন গ্রামে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা ও বাঁকুড়া জেলার তৃণমূল সভাপতি শুভাশিষ বটব্যাল, ওন্দার বিধায়ক অরূপ খাঁ, ওন্দার ব্লক সভাপতি অশোক চট্টোপাধ্যায়, ওন্দা ব্লকের দাপুটে তৃণমূল নেতা যুব সভাপতি শচিন পাত্র-সহ অন্যান্য নেতারা। এদিনের অনুষ্ঠানেই বিজেপি ও সিপিএমের প্রায় ৫০০ পরিবারের ২০০০ কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। আসন্ন নির্বাচনের মুখে নতুন সদস্যদের যোগদানে খুশি তৃণমূল।
দলে যোগদান প্রসঙ্গে মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘অসময়ে নির্বাচিত বিজেপি সাংসদদের পাশে পাওয়া যায় না তা মানুষ বুঝেছেন। পাশপাশি, উপকার যে কেবলমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে পাওয়া যায় সেটাও মানুষ বুঝে গিয়েছে। সেই কারণেই ২ হাজার মানুষ সিপিএম ও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন।’ জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল বলেন, উম্পুন কিংবা মানুষের দুর্দিনে কেবলমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র ভরসা। যদিও এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত বিজেপির তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয় বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সোনামুখীতে বিজেপি, সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার কর্মী।