গত সপ্তাহেই ভার্চুয়াল র্যালির মাধ্যমে বাংলায় তৃণমূল সরকার পতনের ডাক দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু এদিকে যে তাঁর বিদায়ঘণ্টা এখানে বাজছে, সেটা বুঝতে পারেননি। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ২০২১-এ রাজ্যছাড়া করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু রাজ্যের অগ্নিকন্যাকে আগলে রেখেছেন রাজ্যের মানুষরাই। তাই জেলাস্তরে বিজেপিকে এই করোনা আবহেও টেক্কা দিচ্ছে তৃণমূল।
দলের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে জেলায়-জেলায় বিজেপির ঘর ভেঙে তৃণমূলে ফিরছেন ঝাঁকেঝাঁকে নেতা-কর্মী। মেদিনীপুরের গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের দুই নম্বর কড়সা অঞ্চলে তৃণমূলের কর্মীসভায় প্রায় ৩০০ জন কর্মীকে নিয়ে এদিন যোগ দিলেন বিজেপি নেতা কবিরুল ইসলাম। এই কবিরুল বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। তবে আজ থেকে তিনি সামিল হলেন মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে। এদিন মা-মাটি-মানুষের সরকারে যোগদান করে এমনটাই বলেছেন তিনি।
আবার বাঁকুড়ায় ওন্দা বিধানসভার কল্যাণী অঞ্চলে লেদাসন ফুটবল মাঠে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে এলেন বিজেপি-সিপিআইএম ছেড়ে আসা প্রায় ৫০০ জন কর্মী। উল্লেখ্য, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সোনামুখীতে রবিবারই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার কর্মী। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই ফের ওই একই জেলায় ঘর ভাঙল বিজেপির। যা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সহ জেলা নেতৃত্ব।
অপরদিকে, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন অন্ডাল ৪ নম্বর মণ্ডলের সম্পাদক ভারতী ধীবর ও তাঁর অনুগামীরা। সোমবার সকালে অন্ডাল উত্তর বাজারে তৃণমূল পার্টি অফিসে এসে তাঁরা পদ্মফুল ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরে যোগদান করেন। এদিন দলবদলের পর ভারতী দেবী বলেন, ‘বিজেপিতে থেকে মানুষের জন্য কোন কাজ করতে পারছিলাম না। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গোটা রাজ্যে তৃণমূল যা কাজ করছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাই মানুষের জন্যে কাজ করতেই তৃণমূলে এলাম।’