কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালগুলির অন্তিম বর্ষের পরীক্ষার্থীদের অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। শনিবার রেজিস্ট্রার, উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার্থীদের অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার লিখিত প্রস্তাব দেন তাঁরা। এই প্রস্তাবে মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পেলেই রাজ্য বিজ্ঞপ্তি জারি করবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি, এখনই নতুন শিক্ষাবর্য চালু হচ্ছে না বলে জানিয়ে দেন পার্থবাবু। আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পঠন-পাঠন বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
করোনা ভোগাচ্ছে গোটা দেশকে। বাংলায় গোঁদের উপর বিষফোঁড়ার মতো চেপে বসেছে উম্পুনের ক্ষয়ক্ষতি। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষাকর্মীরদের সুস্থ থাকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তাই জুলাই মাসে রাজ্যে স্কুল-কলেজ চালু হচ্ছে না। কিন্তু অন্তিমবর্ষের পড়ুয়াদের নিয়ে চিন্তা বাড়ছিল। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁদের পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ করা জরুরি। কারণ এই ফলাফলের উপর বহু পড়ুয়ার চাকরি বা উচ্চশিক্ষা নির্ভর করে। তাই অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দিকেই ঝুঁকছে শিক্ষামহল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ছাড়পত্র পেলে তবেই এ বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান পার্থবাবু।
প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে করোনার দাপটে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রয়েছে। বন্ধ পঠনপাঠন ও পরীক্ষাও। কিছুক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস চলছে। স্কুলের ক্ষেত্রে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা ছাড়া বাকিদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করে দেওয়ার ঘোষণা আগেই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে অন্তিম বর্ষের পড়ুয়া ছাড়া বাকিদের জন্য এই নিয়মই কার্যকর হয়েছিল। এবার অন্তিম বর্ষের পড়ুয়াদের নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে হাঁটছে রাজ্য। এদিন আরও একবার বেসরকারি স্কুলগুলিকে ফি না বাড়াতে আবেদন করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।