এনআরএস হাসপাতাল থেকে করোনায় মৃতের দেহ গোপনে পাচার করা হচ্ছে, এমন দাবি করে একটি ভিডিও বৃহস্পতিবার ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তাই নিয়ে সারাদিন সরগরম হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া গড়িয়ার বোড়াল শশ্মানে গভীর রাতে গাড়ি থেকে মৃতদেহ নামানোর ভিডিও গুলি ভাইরাল হতেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। গোপনে করোনায় মৃতদের দেহ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে নিন্দার ঝড় ওঠে। শেষে হাসপাতাল ও কলকাতা পুলিশের তদন্তে উঠে আসে ওই ভিডিও সংক্রান্ত খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো। ওই ফেক ভিডিওর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে লালবাজারে চিঠি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এনআরএস-এর তরফে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর।
এ দিন সকাল থেকে ওই ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের অধ্যক্ষ শৈবাল মুখোপাধ্যায়, হাসপাতাল সুপার-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা মর্গ পরিদর্শন করেন। খতিয়ে দেখেন মর্গের কাগজপত্র। তারপরেই হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, প্রত্যেকটি দেহই ছিল বেওয়ারিশ মৃতদেহ। এঁদের কারও পরিচয় পাওয়া যায়নি ।
পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করা যায়নি । তাঁদের কারও করোনা সংক্রমণ ছিল না। যার ফলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এই মৃতদেহগুলি কলকাতা পুরসভার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল সৎকারের জন্য।
এরপরেই বিকেলে জরুরি বৈঠক করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে চিঠি দেওয়া হয় হাসপাতালের তরফে। তাতে বলা হয়েছে, একটি ভুয়ো ভিডিও এনআরএস হাসপাতালের নামে পরিবেশন করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুক কালকাতা পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্তে নেমে লালবাজারের সাইবার সেল জানিয়েছে, ভিডিও সংক্রান্ত সমগ্র তথ্যটিই ছিল মিথ্যা খবর। যে বা যারা এই কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।