ঠিক যে সময়ে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা নিয়ে আমেরিকা জুড়ে তুমুল প্রতিবাদ ঠিক তখনই ভারতের পুণেতে ফেল দলিত হত্যা। তাঁর ‘অপরাধ’, উঁচু জাতের মেয়ের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া। আর তাই বিয়ের কথা আলোচনার টোপ দিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে মারা হল কুড়ি বছরের ওই তরতাজা যুবককে। টেক সিটি পুণের এই ঘটনায় প্রেমিকার পরিবারের ছজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজন আবার নাবালক।
মৃতের দাদা সাগর জগতাপ জানান, “৭ তারিখ রাত নটার সময় মেয়েটির বাড়িতে ভাইকে ডাকা হয়। সেখানে অকথ্য ভাষায় তাঁকে গালিগালাজ করে। এমনকী জাতপাত নিয়েও অপমান করা হয়। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার পরই তাকে বেধড়ক মারধর করে রাস্তায় ফেলে রেখে দেয় মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা।” এসিপি শ্রীধর যাদব জানিয়েছেন, মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মৃত্যুর আগে পরিবারের কাছে ওই যুবক বিরাজ তাঁর জবানবন্দি দিয়ে গিয়েছেন। তাতে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ন’টার নাগাদ প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ফোন করে। বিয়ের কথা আলোচনার টোপ দিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। বাইক নিয়ে বাড়ির কাছে পৌঁঁছতেই একটি টেম্পো এসে বাইকে ধাক্কা মারে। বিরাজ রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান।
টেম্পো থেকে প্রেমিকার পরিবারের ছজন নেমে লোহার রড দিয়ে তাকে এলোপাথাড়িভাবে মারতে থাকে। বড় পাথর দিয়ে তার মাথায় আঘাত লাগে। রক্তাক্ত অবস্থা রাস্তায় পড়েছিলেন বিরাজ। সেইসময় প্রেমিকার বাবা জগদীশ মুরলীধর কাটে তার মুখে থুতু ছেটায় বলেও অভিযোগ। বিরাজ হাত জোড় করে প্রাণভিক্ষার আরজি জানিয়েও রেহাই পাননি। বরং জগদীশ বলেন, “ছোট জাতের ছেলে হয়ে আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সাহস পাও কীভাবে? এর শাস্তি পেতেই হবে।” এরপর হাসপাতালে ভরতি থাকাকালীন বিরাজের মৃত্যু হয়।