২ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা লকডাউনে যেখানে কাজ খুইয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ, সেখানে সম্পূর্ণ উল্টো পথে হেঁটে রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তারদের বেতন বাড়াল সরকার। সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, এর ফলে উপকৃত হবেন বাংলার প্রায় ১০ হাজার জুনিয়র চিকিৎসক। ইন্টার্নরা এখন মাসিক বেতন পান ২৩ হাজার ৬২৫ টাকা। তা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ২৮ হাজার ৫০ টাকা। হাসপাতালের হাউজ স্টাফদের এখন বেতন ৩৮ হাজার ৪৯১ টাকা। সেই বেতন বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪৩ হাজার ৭৮১ টাকা। ডাক্তারি পড়ুয়াদের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিংয়ের প্রথম বর্ষ ভাতা পান ৩৮ হাজার ৩৯১ টাকা। বাড়ানোর ফলে তা দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৭৫৮ টাকায়।
করোনা ভাইরাসের এই কালবেলায় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের উপর বিশাল দায়িত্ব। বছরের অন্য সময়ও সরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলাতে তাঁরাই ভরসা। করোনার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সময় যেভাবে তাঁরা প্রথম সারিতে থেকে করোনার মোকাবিলা করছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও বরাবর বাংলার জুনিয়র ডাক্তারদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
প্রসঙ্গত, যাঁরা এমবিবিএস পড়ছেন তাঁরাই মূলত জুনিয়র ডাক্তার। হাতে কলমে শিক্ষার জন্যই তাঁরা ডিগ্রি পাওয়ার আগেই কাজে যোগ দেন। প্রতিটি হাসপাতালে এক দিনের জন্য একটি করে চিকিৎসকের ইউনিট তৈরি হয়। একটি ইউনিটে চার থেকে পাঁচ জন জুনিয়র ডাক্তার থাকেন। সেই দলে থাকেন আরও চার-পাঁচ জন পোস্ট গ্ৰ্যাজুয়েট ট্রেনি। এঁরা এমবিবিএস পাশ করার পরে এমডি বা অন্য ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করছেন। একটি ইউনিটে এ ছাড়াও থাকেন একজন হাউস-স্টাফ। এখন মেডিক্যাল পড়ুয়াদের হাউস-স্টাফ হিসেবে পরিষেবা দেওয়াটা বাধ্যতামূলক নয়। তবে অনেকেই এক বছরের জন্য এই পদে থেকে কাজ করেন। সপ্তাহে ছ’দিন তো বটেই কখনও কখনও রবিবারেও হাসপাতালে কাজ করতে হয় জুনিয়র ডাক্তারদের।